Delhi Hit and Drag Case

সুযোগ থাকলেও বর্ষবরণের রাতে তরুণীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেননি অভিযুক্তেরা, দাবি দিল্লি পুলিশের

কাঞ্ঝাওয়ালার ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, মাঝপথে অভিযুক্তেরা গাড়ি থামিয়ে দেখেছিল, চাকার নীচে রয়েছেন তরুণী। তার পরেও গাড়ি না থামিয়ে চালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:২০
Share:

কাঞ্ঝাওয়ালার ঘটনায় গত মাসেই চার্জশিট জমা করেছে দিল্লি পুলিশ। — ফাইল ছবি।

বর্ষবরণের রাতে দিল্লির কাঞ্ঝাওয়ালা এলাকায় গাড়িতে চাপা দিয়ে ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ২০ বছরের তরুণীকে। পুলিশের চার্জশিট বলছে, তরুণীকে বাঁচানোর অনেক সুযোগ ছিল অভিযুক্তদের। যদিও তাঁরা সেই চেষ্টা করেনি। পুলিশ জানিয়েছে, মাঝপথে অভিযুক্তেরা গাড়ি থামিয়ে দেখেছিল, চাকার নীচে রয়েছেন তরুণী। তার পরেও গাড়ি না থামিয়ে চালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চার্জ গঠন যুক্তিযুক্ত হয়েছে বলেই দাবি দিল্লি পুলিশের।

Advertisement

কাঞ্ঝাওয়ালার ঘটনায় গত মাসেই চার্জশিট জমা করেছে দিল্লি পুলিশ। বৃহস্পতিবার দায়রা ম্যাজিস্ট্রেট ৮০০ পাতার এই চার্জশিট গ্রহণ করেছেন। ১৮ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি। চার্জশিটে পুলিশ জানিয়েছে, বর্ষবরণের রাতে অপরাধ দু’ভাগে ঘটেছে। প্রথম, যখন তরুণীকে ধাক্কা দেয় ওই গাড়ি। আর দ্বিতীয়, যখন তাঁকে ছেঁচড়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ‘‘যখন তরুণীকে গাড়িতে চাপা দিয়ে ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন অভিযুক্তদের অপরাধমূলক উদ্দেশ্য স্পষ্ট। যেখানে তরুণীকে চাপা দেওয়া হয়েছিল, তার থেকে ৫০০-৬০০ মিটার দূরে গাড়ি থামিয়েছিলেন তাঁরা। পিছনে বসে থাকা দু’জন এবং চালক গাড়ি থেকে নেমে এসে দেখেছিলেন, তরুণী তখনও চাকার নীচে আটকে রয়েছেন কিনা।’’ পুলিশের অভিযোগ, দেখার পরেও তরুণীকে উদ্ধার না করে ছেঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের যা করেছিলেন সেই রাতে, তা কাউকে খুন করার জন্য যথেষ্ট। গাড়িতে চাপা দেওয়ার পর ১৩ কিলোমিটার দূরে কৃষাণ বিহারের শনিবাজার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তরুণীকে। সে কারণেই অমিত খন্না, কৃষাণ, মনোজ মিত্তল, মিঠুনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ চার্জশিটে এ-ও জানিয়েছে, গাড়ির আসলে লেগে থাকা চুলের নমুনার সঙ্গে চার অভিযুক্তের ডিএনএর নমুনার মিল পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্তদের জামায় লেগে থাকা রক্তের নমুনার সঙ্গে অঞ্জলির দেহ থেকে নেওয়া ডিএনএর নমুনার মিল পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের শ্রবণশক্তিও পরীক্ষা করেছে। তা একেবারে স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, সব শুনেও সেই রাতে না শোনার ‘ভান’ করেছিলেন অভিযুক্তেরা। সে কারণেও তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের ধারায় মামলা করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন