(বাঁ দিকে) মৃত মা কুসুম সিংহ এবং মেয়ে প্রিয়া সেহগল (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
পুত্রের জন্মদিনের উপহার নিয়ে বচসা। সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, ঝগড়ার মধ্যেই নিজের স্ত্রী এবং শাশুড়িকে খুন করেছেন দিল্লির বাসিন্দা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
দিল্লির রোহিণীর সেক্টর-১৭-তে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ কেএনকে থানায় পিসির কল আসে। ফোনের ও পার থেকে খুনের বিষয়টি জানানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দুই মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে। মৃতাদের পরিচয় নিশ্চিত করার পরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই ঘরে ছিলেন মৃত অবস্থায় পড়েছিলেন কুসুম সিংহ (৬৩) এবং তাঁর কন্যা প্রিয়া সেহগল।
পরিবার সূত্রে খবর, গত ২৮ অগস্ট নাতির জন্মদিন উপলক্ষে প্রিয়ার বাড়ি গিয়েছিলেন কুসুম। অনুষ্ঠান চলাকালীন উপহার নিয়ে প্রিয়া এবং তাঁর স্বামী যোগেশের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। সেই কারণে রাতে প্রিয়ার বাড়িতে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কুসুম। কিন্তু দু’দিন পরেও বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়েন তাঁর পুত্র মেঘ। বার বার মাকে ফোন করেও কোনও লাভ হয়নি। তার পরেই প্রিয়ার বাড়ি যান তিনি।
মেঘের বয়ান অনুযায়ী, শনিবার দুপুরে বোনের বাড়ি গিয়ে দেখেন দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। আর দরজার সামনে চাপ চাপ রক্ত। সন্দেহ হওয়ায় খবর দেন অন্য আত্মীয়দের। তার পরে পুলিশে জানান। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে মেঝের উপর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কুসুম এবং প্রিয়া।
মেঘের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে যোগেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, সাম্প্রতিক সময়ে কাজ হারিয়েছিলেন যোগেশ। বাড়িতে বেকার হয়ে দিন কাটাতেন তিনি। প্রায়ই নানা কারণে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করতেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যোগেশের রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে একটি কাঁচিও পেয়েছে তারা। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই কাঁচি দিয়ে স্ত্রী এবং শাশুড়িতে খুন করে থাকতে পারেন যোগেশ। তবে ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।