Pregnant Woman

চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু অন্তঃসত্ত্বার

তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েও সুরাহা হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২০ ০৪:০৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

প্রসবের সমস্যা নিয়ে পাঁচটি হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করেও ভর্তি হতে পারলেন না ২০ বছরের এক তরুণী। কোথাও বলা হল করোনার জন্য ডাক্তার নেই। কেউ আবার করোনার মধ্যে অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নিতে চায়নি। স্ত্রীর কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট বারবার দেখিয়েছেন স্বামী। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত রাস্তাতেই মারা গেলেন ওই তরুণী। ভূমিষ্ঠ হওয়ার সুযোগটুকু পেল না গর্ভস্থ সন্তান। মণিপুরের ঘটনা।

Advertisement

কানপাতলিউ কামেই নামে নোনে জেলার মাকুইলংডি পুইচি গ্রামের বাসিন্দা ২০ বছরের ওই তরুণীর পরিবার জানায়, বুধবার বিকেলে সেনাপতি জেলার হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রসবে জটিলতা থাকায় সেনাপতি হাসপাতাল রাত সাড়ে ১০টার সময়ে তাঁকে ইম্ফল নিয়ে যেতে বলে। সেই মতো ৬০ কিলোমিটার পথ পার করে কানপাতলিউকে ইম্ফলে আনা হয়।

স্বামী রোশন বাংলাং জানান, মা ও অন্য এক মহিলা আত্মীয়কে নিয়ে তাঁরা প্রথমে ইম্ফলের জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে আসেন। সেখানে কোভিডের অজুহাতে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাঁরা যান রিমসে। সেখানেও বলা হয় সব ডাক্তার কোভিড ইউনিটে রয়েছেন। চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে না।

Advertisement

এর পর আরও তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েও সুরাহা হয়নি। কানপাতলিউয়ের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে থাকলেও তারা চিকিৎসায় রাজি হয়নি। জানিয়েছে ডাক্তার নেই। বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চম হাসপাতালে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে তার প্রবেশদ্বারেই মারা যান কানপাতলিউ।

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এল জয়ন্তকুমার সিংহ জানান, ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। এ ভাবে রোগী ফেরানো উচিত হয়নি। এ নিয়ে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তার নেতৃত্বে ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement