বিহারের জন সুরাজ পার্টির নেতা প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র।
বিহারের মোকামায় অশান্তির ঘটনায় এ বার পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। পটনা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার বিক্রম সিহাগকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কমিশন। তাঁর পরিবর্ত হিসাবে প্রস্তাবিত আধিকারিকদের নামের তালিকা দ্রুত কিমশনের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং এক মহকুমাশাসকের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার মোকামায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি (জেএসপি)-র সমর্থক দুলারচাঁদ যাদবের। দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বেরিয়ে অন্য দলের সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হন তিনি। অভিযোগ, ওই সময়ে জেএসপির সঙ্গে নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-এর সংঘর্ষ বেধেছিল। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেডিইউ। স্থানীয় সূত্রে খবর, জেএসপি এবং জেডিইউ-এর মিছিল মুখোমুখি হতেই সংঘর্ষ বাধে দু’পক্ষের। দুই দলের সমর্থকেরা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে কুকথা বলছিলেন। ফলে পরিস্থিতি দ্রুত হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। সংঘর্ষে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হন দুলার।
বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনার পরে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয় সেখানে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে এ বার পটনা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব থেকে সরানোর নির্দেশ দিল কমিশন।
এ ছাড়া বাঢ়ের মহকুমাশাসক চন্দন কুমার, বাঢ়-১ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাকেশ কুমার এবং বাঢ়-২ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক সিংহের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তাঁদের মধ্যে বাঢ়ের মহকুমাশাসক এবং বাঢ়-১ মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাঢ়-২ মহকুমা পুলিশ আধিকারিককে নিলম্বিত করারও নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ করা হল কি না, তা রবিবার দুপুর ১২টার মধ্যে রিপোর্ট আকারে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।