—প্রতীকী চিত্র।
‘‘আমায় লাথি-ঘুষি মেরেছে বৌ। পিটিয়েছে শ্বশুর-শাশুড়িও। এফআইআর করতে চাই।’’ যুবকের কথাবার্তা শুনে এবং তাঁর অবস্থা দেখে বসতে বললেন পুলিশ আধিকারিক। এগিয়ে দিলেন জলের গেলাস। মারল কেন আপনাকে? জল খেতে খেতে যুবকের জবাব, ‘‘শিঙাড়া নিয়ে যেতে ভুলে গিয়েছিলাম বলে।’’ শুনে কী বলবেন বুঝতে পারছিলেন না ওই পুলিশ আধিকারিক। গোটা ঘটনার কথা শুনে ‘আক্রান্ত’ যুবকের স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি এবং কাকাশ্বশুরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের পীলীভিতের ঘটনা।
পীলীভিতের আনন্দপুরের বাসিন্দা শিবম কুমারের বিয়ে হয়েছে কয়েক বছর আগে। গত ৩০ অগস্ট তিনি কাজের সূত্রে বাইরে ছিলেন। হঠাৎ স্ত্রী সঙ্গীতা কুমারের ফোন। ‘হ্যালো’ বলতেই নির্দেশের সুরে স্ত্রী বললেন, ‘‘শিঙাড়া খেতে ইচ্ছে করছে। বাড়ি ফেরার সময় কয়েকটা আনবে।’’ ‘আচ্ছা’ বলে ফোন রেখে দেন শিবম। কিন্তু বাড়ি ফিরে মনে পড়ল শিঙাড়ার কথা। ভুল হয়ে গেল। শিঙাড়া আনেননি শুনে মুখ গোমড়া করে নিজের ঘরে চলে গিয়েছিলেন সঙ্গীতা।
শিবমের দাবি, ঠিক পরের দিন, গত ৩১ অগস্ট ফোন করে বাবা-মা এবং কাকাকে বাড়িতে ডাকেন স্ত্রী। সে দিন বাড়িতেই ছিলেন তিনি। শ্বশুর-শাশুড়ি ঘরে ঢুকতেই স্ত্রী আবার তুললেন শিঙাড়া-প্রসঙ্গ। ‘কী ভাবে ভুলে গেলে?’ স্ত্রীর প্রশ্নে এ বার খানিক বিরক্ত হয়ে শিবম বলেছিলেন, ‘শিঙাড়াই তো! এনে দেব।’ ব্যাস! শিবমের অভিযোগ, তার পরেই স্ত্রীর ঘুষি পড়ে তাঁর মুখে। চড়... তার পর লাথিও। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে হাত লাগান শ্বশুর-শাশুড়ি এবং কাকাশ্বশুরও। হাতে-মুখে আঘাত নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয়।
পুলিশের কাছে শিবম বলেছেন, তিনি আতঙ্কিত। বাড়িতে ঢুকতেই ভয় পাচ্ছেন। সব শুনে এফআইআর দায়ের করে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পীলীভিতের এসএসপি অভিষেক যাদব বলেন, ‘‘শিবমের আঘাত গুরুতর না-হলেও শরীরে বেশ কিছু জায়গায় চোট রয়েছে। সামান্য শিঙাড়ার জন্য এত বড় ঘটনা বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’