ধসের পর উদ্ধারকাজ চলছে বৈষ্ণোদেবীতে। ছবি: পিটিআই।
তাঁরা চার ভাই মিলে বৈষ্ণোদেবী মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে আর ফেরা হল না চার জনেরই। গত ২৬ অগস্ট বৈষ্ণোদেবীর যাত্রাপথে বড় ধস নামে। সেই ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে রাজস্থানের চাই ভাইয়ের। ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজস্থানের ব্যবসায়ী পরিবারের ওই চার ভাই গত সপ্তাহে আরও কয়েক জনের সঙ্গে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে বেরিয়েছিলেন। গত কয়েক দিন ধরেই জম্মু-কাশ্মীরে বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই বৃষ্টির জেরে ধস নামে অর্ধুমারী মন্দিরে কাছে। পাহাড়ে থেকে নেমে আসা বড় বড় পাথরের চাঁই এবং বোল্ডারের নীচে চাপা পড়ে যান পুণ্যার্থীরা। সেই ধসেই মৃত্যু হয়েছে রাজস্থানের চার ভাইয়ের। মৃতেরা হলেন, অরবিন্দ (৩৫), অনিল (৪৩), গজানন্দ (৩২) এবং সন্দীপ (৩৫)।
গত ২৬ অগস্ট বেলা ৩টের সময় অর্ধকুমারী মন্দিরে কাছে হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ধস নেমে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গোটা ঘটনাটি ঘটেছে। বড় বড় পাথরের নীচে চাপা পড়ে যান পুণ্যার্থীরা। পালানোর কোনও সুযোগ পাননি অনেকে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই রাজস্থানের বাসিন্দা। ধসের ঘটনার পরই বৈষ্ণোদেবী যাত্রা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে অনেক পুণ্যার্থী যাত্রার মাঝপথেই আটকে পড়েছেন। এই ঘটনার পর চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বৈষ্ণোদেবী মন্দির কমিটি জানিয়েছে, ২৪ জন পুণ্যার্থীর দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।