Google Maps Survey

সমীক্ষার কাজে গিয়েছিলেন গুগ্‌লের কর্মীরা, চোর সন্দেহে বেধড়ক মারলেন গ্রামবাসীরা! হুলস্থুল উত্তরপ্রদেশে

গাড়িটি গ্রামের রাস্তা ধরে কিছুটা এগোতেই গ্রামের আরও লোক পথ আটকে দাঁড়ান। কেন গাড়ি আটকানো হচ্ছে, তা নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়ে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৫ ১৬:১০
Share:

ক্যামেরা, নানা যন্ত্রপাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে গ্রামে ঢুকেছিলেন গুগ্‌লের কর্মীরা। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

চোর সন্দেহে মারধর করা হল গুগ্‌লের একদল কর্মীকে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গুগ্‌ল ম্যাপের একটি সমীক্ষা চলছিল কানপুরের একটি গ্রামে। গ্রাম প্রশাসন বা পুলিশকে এই সমীক্ষা সম্পর্কে অবহিত না করে বৃহস্পতিবার রাতে এই সমীক্ষার কাজ শুরু করেন গুগ্‌ল সংস্থার কর্মীরা। গভীর রাতে গ্রামে গাড়ি নিয়ে ঢোকেন তাঁরা। গাড়িতে নানা রকম যন্ত্রপাতি, ক্যামেরা লাগানো ছিল। গভীর রাতে এ রকম একটা গাড়ি ঢুকতে দেখে সন্দেহ হয় গ্রাম পাহারায় থাকা এক দল লোকের। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা গাড়িটির পিছু নেন।

গাড়িটি গ্রামের রাস্তা ধরে কিছুটা এগোতেই গ্রামের আরও লোক পথ আটকে দাঁড়ান। কেন গাড়ি আটকানো হচ্ছে, তা নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু হয়ে যায়। তাঁরা কেন এসেছেন, কী করবেন, এ সব কথা গ্রামবাসীদের বোঝানোর আগেই শুরু হয়ে যায় মারধর। চোর সন্দেহে গ্রামবাসীরা ওই কর্মীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে গুগ্‌লের কর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেশ কিছু দিন ধরে ওই এলাকায় চুরি হচ্ছিল। রাত পাহারার ব্যবস্থা করা হয় চোর ধরার জন্য। আর এমন একটা পরিস্থিতিতে মাঝরাতে অচেনা গাড়ি এবং তাঁর মধ্যে একদল লোককে দেখে চোর বলে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। তার পরই তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সন্দীপ। তিনি জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা সন্দেহজক কিছু আঁচ করে তাঁদের ঘিরে ধরেন। যদি তাঁরা নথি পরীক্ষা করে দেখতেন, বা কী করতে এসেছি সেটা জানার চেষ্টা করতেন, তা হলে এই ঘটনা ঘটত না।

সহকারী পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণকান্ত যাদব জানান, গুগ্‌লের সমীক্ষাকারী ওই দলটি স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়ে সমীক্ষার কাজে গিয়েছিলেন। তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, গ্রামীণ এলাকায় এ রকম কোনও সমীক্ষায় গেলে স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশকে যেন আগে থেকে জানানো হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement