গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
কথায় বলে, বিয়ে মানে একশো কথা। সেই কথাবার্তায় পাত্রের রোজগার কত, এমন অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা হয়। আবার পাত্রীর ওজন জানতেও কুণ্ঠাবোধ করে না পাত্রপক্ষ। দেখাশোনা করে বিয়ের আগে এমনই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হল মহারাষ্ট্রের এক যুবককে। পাকাদেখার দিনই তাঁর ভেঙে গেল। কারণ? ‘সিবিল স্কোর’ খারাপ!
মহারাষ্ট্রের মুর্তিজ়াপুরের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে ঠিক হয়েছিল স্থানীয় তরুণীর। পাত্র বেসরকারি চাকুরে। মাইনেপত্র ভাল, পরিবারের লোকজনকেও পছন্দ হয়ে গিয়েছিল পাত্রীপক্ষের। পাত্রেরও পাত্রীকে দারুণ পছন্দ। দুই পরিবারের কথাবার্তা এগোয়। বিয়ের আগে শেষ বার ভাল করে আলাপ ঝালিয়ে নিতে দুই পরিবারের সদস্যেরা একত্রিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই ‘অঘটন’। এ কথা, সে কথার মধ্যে হঠাৎ পাত্রের ‘সিবিল স্কোর’ জানার জন্য কৌতূহল প্রকাশ করেন পাত্রীর এক কাকা। দোনামনা করে পাত্র ‘সিবিল স্কোর’ দেখাতেই বেঁকে বসে পাত্রীপক্ষ। কিছু ক্ষণের মধ্যে হাসিখুশি পরিবেশ বদলে গিয়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় দুই পক্ষের। পাত্রীর বাড়ির লোকজন জানিয়ে দেন, এই বিয়ে হচ্ছে না!
পাত্রের ‘সিবিল স্কোর’ দেখে নাকি চোখ কপালে ওঠে পাত্রীর কাকার। তিনি খুঁজে বার করেন, বেসরকারি চাকুরে ওই যুবকের একাধিক ঋণ রয়েছে। বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়েছেন। এখনও সে সব শোধ হয়নি। ‘সিবিল স্কোর’-এ পরিষ্কার যে যুবকের ক্রেডিট কার্ডের ‘ইতিহাস’ খারাপ। পাত্রীর বাবা-কাকার সন্দেহ, নিশ্চয়ই কোনও ঋণের টাকা শোধ করতে পারেননি পাত্র। তাই এই হাল। অগত্যা বিয়ে ভেঙে দেন তাঁরা।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে অথবা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিলে, তার হিসাব জমা পড়ে সিবিলের খাতায়। যে ঋণ চলছে, আগে যে ধার নেওয়া হয়েছে, ঋণ নিয়মিত মেটানো হচ্ছে কি না, কত টাকা বাকি— এই সমস্ত তথ্যই লেখা থাকে সেখানে। আবার কোনও ঋণ নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে গেলেন কেউ। তখন ব্যাঙ্ক তাঁর আগেকার ঋণের তথ্য জানার জন্য সিবিলের দ্বারস্থ হয়। তখন ব্যাঙ্ক জানতে পারে কোনও ঋণ বাতিল হয়েছে কি না, সেটাও।