Noida Daycare

সারা গায়ে কামড়, মুখে ঠুসে ধরা হয় পেন্সিল! সিসিটিভিতে ধরা পড়ল নয়ডার ক্রেশে শিশু অত্যাচারের দৃশ্য

শিশুর পরিবারের অভিযোগ, দিনকয়েক আগে তাঁরা খুদে কন্যার উরুতে লাল লাল চাকা চাকা দাগ দেখতে পান। প্রথমে অ্যালার্জি ভেবে চিকিৎসকের কাছে ছোটেন বাবা-মা। ক্রেশের তরফেও জানানো হয়েছিল, সামান্য সংক্রমণের জেরে এমন হয়ে থাকতে পারে। পরে বোঝা যায়, সেগুলি আদতে কামড়ের দাগ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ১৭:৩১
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সারা গায়ে কামড়ের চাকা চাকা দাগ। তার উপর নাগাড়ে চড়থাপ্পড় মারা হচ্ছে ১৫ মাসের খুদেকে। ইচ্ছা করে হাত থেকে ফেলেও দেওয়া হচ্ছে বার কয়েক। এমনই ভয়াবহ দৃশ্য ধরা পড়েছে নয়ডার এক ক্রেশের সিসিটিভি ক্যামেরায়। দেখাশোনার নামে শিশু অত্যাচারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে বিস্তর সমালোচনাও।

Advertisement

সম্প্রতি নয়ডার সেক্টর ১৩৭-এর ওই ক্রেশের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ১৫ মাস বয়সি এক শিশুকে নির্যাতন করছে ক্রেশেরই এক পরিচারিকা। কিল, ঘুষি, চড় মারার পাশাপাশি তাকে দোলনা থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া, প্লাস্টিকের ব্যাট দিয়ে মারধর করা হচ্ছে। এমনকি, শিশুটির মুখে পেন্সিল ঠুসে দিতেও দেখা যায় ওই পরিচারিকাকে। ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় সমালোচনা। তদন্তে জানা যায়, নাবালিকা ওই পরিচারিকার বয়স ১৬। মাত্র ১০ দিন আগেই চাকরিতে যোগ দিয়েছিল সে। এর আগে শিশুদের দেখাশোনা করার কোনও অভিজ্ঞতাও ছিল না তার। ওই পরিচারিকার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশুটির বাবা-মা।

শিশুর পরিবারের অভিযোগ, দিনকয়েক আগে তাঁরা খুদে কন্যার উরুতে লাল লাল চাকা চাকা দাগ দেখতে পান। প্রথমে অ্যালার্জি ভেবে চিকিৎসকের কাছে ছোটেন বাবা-মা। ক্রেশের তরফেও জানানো হয়েছিল, সামান্য সংক্রমণের জেরে এমন হয়ে থাকতে পারে। পরে বোঝা যায়, ওগুলি আদতে কামড়ের দাগ। এর পরেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান বাবা-মা। পুলিশকেও জানানো হয়। শেষমেশ চার দিন পর সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পাওয়া যায়। তখনই প্রকাশ্যে আসে অত্যাচারের কাহিনী। ‘ব্লিপি প্রি-স্কুল অ্যান্ড ডে-কেয়ার’ নামে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর ১১৫(২) (ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা), ৩৫১(২) (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) এবং ৩৫২ (শান্তিভঙ্গের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত ভাবে অপমান করা) ধারায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement