ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছেন, পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় আপাতত যাত্রীদের এই দুর্ভোগ আরও কিছু দিন চলবে। ছবি: সংগৃহীত।
বিমানচালকের সংখ্যা কম। তাই প্রতি দিনই বাতিল করতে হচ্ছে একাধিক বিমান। এতে ব্যাহত হয়েছে ইন্ডিগো-র স্বাভাবিক পরিষেবা। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
সোমবার দেশ জুড়ে বাতিল করা হয়েছিল ৩২টি উড়ান। মঙ্গলবারও এই ছবিটা পাল্টায়নি। গত কাল দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে মোট ৩০টি উড়াল বাতিল করেছে ইন্ডিগো। এরই পাশাপাশি, যাত্রীদের দাবি, শেষ মুহূর্তে নির্ধারিত দামের থেকে বেশি টাকা দিয়ে ইন্ডিগো-র বিমানের টিকিট কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে তাঁদের। ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষও স্বীকার করেছেন, আপাতত এই দুর্ভোগ আরও কিছু দিন চলবে। বিমানচালকের সংখ্যা কম থাকা ছাড়াও গত কয়েক দিনে রাজধানী এবং তাঁর আশপাশের অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি এবং প্রবল বৃষ্টিপাতের জন্য খারাপ আবহাওয়ার কারণেও স্বাভাবিক পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
বুধবার একটি বিবৃতিতে ইন্ডিগো জানিয়েছে, “পরিষেবা ব্যবস্থা সচল রাখতে আগামী দিনগুলিতে তাদের উড়ানসূচিতে সামান্য রদবদল করা হবে।” এতে প্রতি দিন ৩০টি উড়ানের সময়সূচিতে বদল হবে বলে সংস্থা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্তমান রাফাল চুক্তি ২.৮ শতাংশ সস্তা! সিএজি রিপোর্ট ঘিরে সংসদে ঝড়
দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের মধ্যে মঙ্গলবার ইন্ডিগো-র বেশির ভাগ উড়ান বাতিল করা হয়েছে কলকাতা, হায়দরাবাদ এবং চেন্নাইয়ের বিমানবন্দর থেকে। এর মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতা থেকে আটটি, হায়দরাবাদ থেকে পাঁচটি এবং চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু থেকে চারটি করে উড়ান বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাইনে ৭ হাজার, বর্ধমানে লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না-গাড়ি-বাড়ির মালিক আসলে...
পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভের কথা অজানা নয় ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের। তাঁদের দাবি, যাত্রীদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই উড়ানের সময়সূচিতে অদলবদলের কথা নোটিশ দিয়ে অনেক আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সংস্থার এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-র নজরেও রয়েছে।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)