—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ভরা রাস্তায় টেনে এনে মারধর করা হচ্ছে এক যুবতীকে। কেউ চড় মারছেন, কেউ ঘুষি। তার পর ওই যুবতীর মাথার চুল কেটে উড়িয়ে উল্লাস করলেন একদল মানুষ। ঘটনাস্থল ত্রিপুরার উদয়পুর। পরকীয়া করছেন, এই অভিযোগ করে এক মহিলাকে জনসমক্ষে হেনস্থার অভিযোগে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। হেনস্থায় মদত দেওয়ায় অভিযুক্ত হয়েছেন বিজেপির দুই নেতা। যা নিয়ে রাজনৈতিক শোরগোলও শুরু হয়েছে ত্রিপুরায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার। এক মহিলা বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক করছেন, এই অভিযোগ করে তাঁকে বাড়ির বাইরে টেনে আনেন কয়েক জন। মারধর করা হয় মহিলাকে। কয়েক জন তাঁর চুল কেটে দেন।
রাস্তায় ভিড় বাড়ে। কিন্তু কেউ থামাতে যাননি। বরং অনেকে মোবাইলের ক্যামেরায় ভিডিয়ো করেছেন। ওই ভিড়েই ‘দর্শক’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মহিলার স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি। তাঁরা কেউ-ই প্রতিবাদ করেননি বলে অভিযোগ। ভিড়ের মধ্যে হেনস্থাকারীরা মন্তব্য করেছেন, এ ভাবেই সবক শেখাতে হয়!
ওই ঘটনার কিছু ভিডিয়ো (আনন্দবাজার ডট কম ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি) ওই ছড়িয়ে পড়ার পরে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করে ত্রিপুরা পুলিশ। রবিবার কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নির্যাতিত মহিলার স্বামীও রয়েছেন।
পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নিয়েছে। তাতে নিতাই দত্ত এবং সীমা বেগম নামে দুই বিজেপি নেতানেত্রীর নাম উঠে এসেছে। অভিযোগ, তাঁদের নেতৃত্বে একটি দল গিয়ে ওই বধূকে হেনস্থা করে। তবে বিজেপির তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।