‘কণ্ঠ রুদ্ধ’, প্রতিবাদে পদত্যাগ আইএএস অফিসারের

২০১২ ব্যাচের আইএএস কান্নান অবশ্য প্রকাশ্যে জম্মু-কাশ্মীর নীতির প্রতিবাদে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানাননি। তাঁর কথায়, ‘‘ভেবেছিলাম সিভিল সার্ভিসে থেকে মানুষের বক্তব্য তুলে ধরতে পারব।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৯ ০৩:১৮
Share:

আইএএস অফিসার জি কান্নান।

কেরলে বন্যার সময়ে ত্রাণকার্যে যোগ দিয়ে প্রশংসা পেয়েছিলেন আইএএস অফিসার জি কান্নান। গত কাল ইস্তফা দিলেন তিনি। ঘনিষ্ঠদের দাবি, জম্মু-কাশ্মীরে সরকারি নীতির প্রতিবাদেই ইস্তফা দিয়েছেন কান্নান। ইতিমধ্যেই টুইটারে তাঁকে ‘দেশ-বিরোধী’ তকমা দিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে।

Advertisement

২০১২ ব্যাচের আইএএস কান্নান অবশ্য প্রকাশ্যে জম্মু-কাশ্মীর নীতির প্রতিবাদে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানাননি। তাঁর কথায়, ‘‘ভেবেছিলাম সিভিল সার্ভিসে থেকে মানুষের বক্তব্য তুলে ধরতে পারব। দেখলাম আমার কণ্ঠই রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।’’ দাদরা ও নগর হাভেলি প্রশাসনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন কান্নান। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি স্বরাষ্ট্রসচিব বা অর্থসচিব নই। আমার ইস্তফায় পরিস্থিতির বদল হবে না। কিন্তু আমার বিবেক স্বচ্ছ।’’

তবে আইএএস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ায় কান্নান ক্ষুব্ধ। তাঁর এক সতীর্থের কথায়, ‘‘ও বলত মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ার অর্থ জরুরি অবস্থা জারি হওয়া।’’ প্রাক্তন আইএএস ও রাজনীতিক শাহ ফয়সলকে আটক করাতেও কান্নান ক্ষুব্ধ হন বলে দাবি তাঁর সতীর্থদের।

Advertisement

মোদী সরকারের সঙ্গে আগেও বিরোধ হয়েছে কান্নানের। লোকসভা ভোটের সময়ে এক নেতা তাঁকে নির্দেশ দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কান্নান। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মোদী সরকার ক্ষমতায় ফেরার পরে তুচ্ছ কারণে আমাকে শো-কজ় নোটিস দেওয়া হচ্ছিল।’’

কান্নানকে ‘দেশ-বিরোধী’ তকমা দিয়ে টুইটারে প্রচার শুরু হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দেশের স্বার্থে আমি দেশ-বিরোধী তকমা সহ্য করতে রাজি।’’ তবে কান্নানের পাশেও দাঁড়িয়েছেন অনেকে। প্রাক্তন আইএএস অনিল স্বরূপের বক্তব্য, ‘‘কান্নানের মতো অফিসারদের নিয়ে আমরা গর্বিত। কেন ইস্তফা তা জানা প্রয়োজন।’’

কান্নানের ইস্তফা এখনও গৃহীত হয়নি। তাঁর মতে সেটা নেহাতই পদ্ধতিগত বিষয়। কর্মিবর্গ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘কেউ ইস্তফা দিতেই পারেন। তবে উনি ইস্তফার কারণ জানাননি। সরকার বিষয়টি দেখবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন