Double Suicide in Arunachal Pradesh

যৌন হেনস্থা, খারাপ আচরণের অভিযোগ করে আত্মঘাতী তরুণ, চিঠিতে নাম আছে জেনে আত্মহত্যা সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের!

কাজের সূত্রে ইটানগরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন ১৯ বছরের তরুণ। সুইসাইড নোটে তিনি যাঁদের নাম লিখে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক জন আইএএস অফিসার। অন্য জন, ইঞ্জিনিয়ার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৫৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

যৌন হেনস্থার অভিযোগ করে আত্মহত্যা করেন ১৯ বছরের এক তরুণ। তিনি সুইসাইডে নোটে দায়ী করে যান দুই সরকারি আধিকারিককে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন এক আইএএস অফিসার এবং এক ইঞ্জিনিয়ার। সেই ইঞ্জিনিয়ারও আত্মহত্যা করলেন তরুণের মৃত্যুর ঠিক পরের দিন। ঘটনাটি ঘটেছে অরুণাচল প্রদেশে।

Advertisement

মৃত তরুণের নাম গোমচু ইয়েকার। কাজের সূত্রে ইটানগরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেশী এবং বাড়ির মালিক গোমচুকে ডাকাডাকি করেও তাঁরা সাড়া পাননি। কিন্তু তিনি যে ঘরে থাকতেন, তার দরজা এবং জানালা খোলা ছিল। কৌতূহলবশত ঘরে ঢোকেন তাঁরা। দেখেন, তরুণের ঝুলন্ত দেহ!

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। তাতে দুই উচপদস্থ সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, অপমান এবং ঠকানোর অভিযোগ করা হয়েছে।

Advertisement

ছেলের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তোগম ইয়েকার। তাঁর অভিযোগ, ছেলেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। তিনি এক আইএএস অফিসার এবং এক এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। ঘটনাক্রমে ইটানগরের পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে। পরে সুইসাইড নোট উদ্ধারের প্রেক্ষিতে দুই সরকারি আধিকারিকের নাম যুক্ত করা হয় ওই মামলায়। ঠিক এর পরেই সুইসাইড নোটে নাম থাকা ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যুর খবর পায় পুলিশ। শুক্রবার বাড়ি থেকে তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণের সুইসাইডে নোটে যৌন হেনস্থা, হুমকির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ওই তরুণকে কাজ দিয়েছিলেন এক সরকারি আধিকারিক। তাঁরা যৌন হেনস্থা করতেন। এর পরে ওই কর্মী এইচআইভি আক্রান্ত জানতে পেরে দুই সরকারি আধিকারিক তাঁকে নানা ভাবে ভয় দেখাতেন। শুধু তাই নয়, আর্থিক সহায়তার কথা বলে আবার যৌন নিপীড়ন করেন বলে অভিযোগ। ইয়েকারের সুইসাইড নোটে লেখা, ‘‘ওঁরা আমার জীবন শেষ করে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। এমনিতেই আমি আর বাঁচার আশা দেখছি না।’’

পুরো ঘটনার রহস্যভেদ করতে না করতেই সুইসাইড নোটে নাম থাকা ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যুর খবর পান তদন্তকারীরা। পুলিশের অনুমান, সুইসাইড নোটে তাঁর নাম রয়েছে জানার পর নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন ওই সরকারি আধিকারিক। দুই অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করছে অরুণাচলের পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement