ভোটের আগে মধ্যবিত্ত ভোটব্যাঙ্কের মন জয় করতে চান নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
উচ্চবর্ণের পর এ বার নরেন্দ্র মোদী সরকারের নজরে মধ্যবিত্ত ভোটব্যাঙ্ক। লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্তবর্তী বাজেটে মধ্যবিত্তদের আয়কর ছাড় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করতে পারে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।
বর্তমানে বছরে আড়াই লক্ষ টাকা আয় করলে কোনও আয়কর দিতে হয় না। ওই হার বাড়িয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ৫ লক্ষ টাকা করা হতে পারে। অর্থাৎ বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করলেও করছাড় মিলতে পারে।
মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দিতে আরও বেশ কিছু রদবদল আনা হতে পারে চিকিৎসা এবং পরিবহণ জন্য খরচের ক্ষেত্রেও। এর আগে বছরে ৫ লক্ষ টাকা রোজগেরেদের ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচে কর এবং ১৯,২০০ টাকা পরিবহণ ভাতা উঠিয়ে একেবারে ২০ হাজার টাকা কর দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছিল অর্থ মন্ত্রক।
(আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের কম্পিউটার-স্মার্টফোনে কেন্দ্রের নজরদারিকেই নজরবন্দি করল সুপ্রিম কোর্ট
যদিও সরকারি সূত্রের খবর, নির্বাচনের আগে আয়করের ছাড়ে বেশি রদবদল হলে তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। এবং নির্বাচনী ফলাফলেও তার প্রভাব পড়তে পারে। ফলে এ নিয়ে ধীরে পা ফেলতে চায় মোদী সরকার। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিরেক্ট ট্যাক্স কোড রিপোর্ট পেশ করা হবে। তাতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে করের আওতায় ঢোকানোর পাশাপাশি ব্যবসা ক্ষেত্রে সুস্থ প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য কর্পোরেট করের হার কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নিতে চায় সরকার।
আরও পড়ুন: ভোটের মুখে রাষ্ট্রদ্রোহের চার্জশিট কানহাইয়াদের
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফলাফল, কৃষক এবং দলিত বিক্ষোভ, বিমুদ্রাকরণ নীতির বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ-সহ একাধিক বিষয়ে ধাক্কা খাওয়ার পর লোকসভা নির্বাচনে দিকে ঘুরে দাঁড়াতে চায় মোদী সরকার। সম্প্রতি উচ্চবর্ণের গরিবদের জন্য সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বন্দোবস্ত করেছে সরকার। এ বার আয়করে বড়সড় ছাড় দিয়ে মধ্যবিত্তদেরও মন জয় করতে চান নরেন্দ্র মোদী।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)