মানুষ নয় যেন রোবট! বাহিনীকে নতুন করে ঢেলে সাজছে ভারত

পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সেনাবাহিনী তৈরি করতে চলেছে ভারত? প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পরিকল্পনা সে রকমই। অত্যাধুনিক পোশাক, প্রায় হাফ ডজন সেন্সর এবং সর্বাধুনিক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে যেভাবে বাড়ানো হচ্ছে বাছাই জওয়ানদের সক্ষমতা, তাতে প্রত্যেক জওয়ান একটি একটি রোবটের সমান হয়ে উঠবেন প্রায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৬ ১৩:১৮
Share:

পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সেনাবাহিনী তৈরি করতে চলেছে ভারত? প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পরিকল্পনা সে রকমই। অত্যাধুনিক পোশাক, প্রায় হাফ ডজন সেন্সর এবং সর্বাধুনিক স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে যেভাবে বাড়ানো হচ্ছে বাছাই জওয়ানদের সক্ষমতা, তাতে প্রত্যেক জওয়ান একটি একটি রোবটের সমান হয়ে উঠবেন প্রায়। এই ফিউচার সোলজার প্ল্যান দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারত।

Advertisement

ভারতের সেনাবাহিনী আকারে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম। সৈন্য সংখ্যার বিচারে আমেরিকা-রাশিয়াকেও ভারত ছাপিয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে ভারতের চেয়ে এগিয়ে শুধু চিন। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী আকারে যতই বড় হোক, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাথাপিছু ব্যবহারে আমেরিকা এবং ইজরায়েলের সেনা বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে। এই খামতিও আর রাখতে চাইছে না ভারত সরকার। জওয়ানদের বাছাই করা অংশকে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম আর খুব শক্তিশালী স্বয়ক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এমনভাবে সুসজ্জিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে যে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে মার্কিন বাহিনীর চেয়েও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে ভারতের সেনা।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যা পরিকল্পনা, তাতে জওয়ানরা এক একটি রোবটের সমান সক্ষমতা পেয়ে যাবেন। প্রতিপক্ষের গোলাগুলি সহজে ছুঁতে পারবে না তাঁদের।

Advertisement

ভারতীয় বাহিনীর পোশাক নিয়ে ঠিক কী ধরনের পরিকল্পনা করা হয়েছে দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে:

১. মাথায় থাকবে বুলেটপ্রুফ হেলমেট।

২. গায়ের পোশাক হবে ওয়াটারপ্রুফ এবং ফায়ারপ্রুফ। আগুনে পোড়ানো যাবে না।

৩. থাকবে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট।

৪. সেনার পোশাকে ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল অক্সিজেন জোগানোর ব্যবস্থা থাকবে।

৫. পোশাকের হাঁটু এবং কনুই-এর অংশে গ্লাভসে এমন প্যাডিং থাকবে, যাতে এই সব অংশে চোট লাগার সম্ভাবনা প্রায় থাকবেই না।

৬. পোশাক এমনভাবেই তৈরি হবে যা পারমাণবিক বিকিরণের মুখেও সুরক্ষিত রাখবে ভারতীয় সেনাকে। তেজস্ক্রিয়তায় জওয়ানদের কোনও ক্ষতি হবে না।

৭. চোখে থাকবে লেসার আই প্রোটেক্টেড গগল্‌স। তাতে নাইট ভিশনের ব্যবস্থাও থাকবে যাতে অন্ধকারেও স্পষ্ট দেখা যায়।

এবার দেখে নেওয়া যাক কী ধরনের অস্ত্রশস্ত্র দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে সেনাবাহিনীকে:

১. বেশ কয়েক দশক ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসা ইনস্যাস রাইফেলের বদলে ইজরায়েলে তৈরি ৫.৫৬ মিলিমিটার বোরের টেভর-২১ রাইফেল দেওয়া হবে জওয়ানদের।

২. মিনিটে ৭০০-৯০০ রাউন্ড গুলি চালানো যায় এই রাইফেল থেকে।

৩. টেভর-২১ রাইফেলের রেঞ্জ ৪০০ মিটার।

৪. লেসার টার্গেট ব্যবস্থা থাকায় এই রাইফেলের নিশানা নিখুঁত।

আরও পড়ুন:

এস-৩০০ মিসাইল কোথায় মোতায়েন করল ভারত? চিন্তায় পাকিস্তান

রাফাল হাতে পেলে কতটা শক্তিশালী হবে ভারতীয় বায়ুসেনা

কাবুলকে ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ দিয়েছে দিল্লি, বিপদের মেঘ দেখছে পাকিস্তান

পোশাক এবং অস্ত্রশস্ত্রের বাইরেও বেশ কিছু নতুন প্রযুক্তিতে সুসজ্জিত করার কথা ভাবা হয়েছে ভারতীয় বাহিনীকে। সেগুলি কী কী:

১. থার্মাল ইমেজার

২. পামটপ জিপিএস নেভিগেশন

৩. স্বয়ংক্রিয় হ্যান্ডগ্রেনেড— যা জিপিএস-এর মাধ্যমে শক্রুর উপস্থিতি বুঝে নিয়ে নিজে থেকেই আছড়ে পড়বে প্রতিপক্ষের শিবিরে।

৪. স্যাটেলাইট ফোন

৫. ডিজিটাল ম্যাগনেটিক কম্পাস

৬. আরও নানা ধরনের সেন্সর ও জ্যামার, যা প্রতিপক্ষের অস্ত্রশস্ত্রকে অকেজো করতে সক্ষম।

এই বিপুল অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রযুক্তির সম্ভার যাতে ওজনে যথেষ্ট হালকা হয়, তাও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। সেন্সর, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের মাধ্যমে হামলার ব্যবস্থা এবং অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা এমনভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে নতুন পোশাক পরার সঙ্গেই পুরো বন্দোবস্ত প্রস্তুত হয়ে যায় জওয়ানের শরীরেই। এমন রোবটের মতো বাহিনী তৈরির পরিকল্পনা সফল হলে সত্যিই পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বাহিনী হতে চলেছে ভারতের সেনাবাহিনী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement