পাকিস্তান হাই কমিশনের আরও এক আধিকারিককে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করল ভারত সরকার। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি হাই কমিশনের আরও এক আধিকারিককে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করল ভারত সরকার। বুধবার সন্ধ্যায় বিদেশ মন্ত্রক থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে এ কথা জানানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই পাকিস্তানি আধিকারিককে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পাক হাই কমিশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পাক হাই কমিশনের আধিকারিকেরা যাতে কোনও ভাবেই নিজেদের পদ এবং সুবিধার অপব্যবহার না করেন, তা নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে হাই কমিশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে।
সম্প্রতি পাক হাই কমিশনের আরও এক আধিকারিক এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশকে ভারতে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পাকিস্তানি গুপ্তচরদের সাহায্যের অভিযোগে ভারতীয় সমাজমাধ্যম প্রভাবী জ্যোতি মলহোত্রার গ্রেফতারির পর দানিশকে ঘিরে আরও বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। জ্যোতির সঙ্গে দানিশের যোগাযোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। এরই মধ্যে পাক হাই কমিশনের আরও এক আধিকারিককে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হল। ওই পাকিস্তানি আধিকারিকের নাম প্রকাশ করেনি ভারত। তবে বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে স্পষ্ট, ওই পাক আধিকারিক এমন কিছু কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যা তাঁর পদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানি গুপ্তচরদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে একাধিক ভারতীয় গ্রেফতার হয়েছেন। ধৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই পঞ্জাব এবং হরিয়ানার বাসিন্দা। জ্যোতির গ্রেফতারির পর হরিয়ানার হিসার জেলার পুলিশ সুপার শশাঙ্ককুমার সাওয়ান জানিয়েছিলেন, ‘আধুনিক যুদ্ধ’ সবসময় সীমান্তে লড়া হয় না। সমাজমাধ্যম প্রভাবীদের ব্যবহার করে নিজেদের একপেশে গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। পাকিস্তানি গুপ্তচরেরা সম্প্রতি নিজেদের কাজের জন্য সমাজমাধ্যম প্রভাবীদের ব্যবহার করার চেষ্টা শুরু করেছে। বস্তুত, জ্যোতির ভিডিয়োয় পাক হাই কমিশনের বিভিন্ন আধিকারিকদের দেখা গিয়েছে।