সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা হলেও পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ভারত-পাক কূটনীতিতে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। মঙ্গলবার গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দিল্লির পাক হাইকমিশনের এক আধিকারিককে ‘অবাঞ্ছিত’ (পার্সোনা নন গ্রাটা) ঘোষণা করে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, পাক হাইকমিশনের ওই কর্তা ভারতে তাঁর সরকারি মর্যাদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন। দিল্লির পাক শীর্ষ কূটনীতিককে (চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স) তলব করে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নির্দেশিকা (কূটনৈতিক পরিভাষায় ডিমার্শ) দেওয়া হয়েছে। ঠিক কোন অভিযোগে ওই পাক কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানায়নি বিদেশ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন:
তবে সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সম্প্রতি পঞ্জাব পুলিশ দিল্লির পাক দূতাবাসের এক আধিকারিককে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ‘স্পর্শকাতর তথ্য’ পাচারের অভিযোগে এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল। সেই মামলার তদন্তের সূত্র ধরেই পাক হাইকমিশনের ওই কর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ দফা পদক্ষেপের ঘোষণা করেছিল নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লির পাক হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, নৌসেনা উপদেষ্টা, বায়ুসেনা উপদেষ্টাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়েছিল। নয়াদিল্লির তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, এই সামরিক উপদেষ্টাদের এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে। পাশাপাশি, পাকিস্তানের ভারতীয় হাই কমিশনে আধিকারিক ও কর্মীসংখ্যা কমিয়ে অর্ধেক করার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র।