Pakistan-Saudi Defence Contract

‘আমরা আশা করব সৌদি ...’! পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে এ বার ভারতের বার্তা, কী বলল বিদেশ মন্ত্রক?

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ-রিয়াধ প্রতিরক্ষা চুক্তি আঞ্চলিক শান্তি ও সুস্থিতি বিঘ্নিত করছে কি না, তার উপর নজর রাখবে নয়াদিল্লি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৪৩
Share:

ছবি: রয়টার্স।

প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা এ সম্পর্কে অবহিত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পাকিস্তান-সৌদি আরব ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সম্পর্কে শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্ট বার্তা দিলেন রিয়াধকে। সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভারত এবং সৌদি আরবের মধ্যে একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে যা গত কয়েক বছরে যথেষ্ট গভীর হয়েছে। আমরা আশা করব যে এই কৌশলগত অংশীদারির বিষয়টি পারস্পরিক স্বার্থ এবং সংবেদনশীলতার দিকগুলি নজরে রাখবে।’’

Advertisement

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর চার মাস পরে বুধবার সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ‘পারস্পরিক কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সই করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান এবং সৌদি আরবের মধ্যে কোনও একটি দেশ তৃতীয় কোনও দেশের আগ্রাসনের শিকার হলে তা দুই দেশের উপর অভিন্ন আঘাত হিসাবে দেখা হবে। নয়াদিল্লি যে ওই চুক্তির নিশানা নয়, বৃহস্পতিবারই সে ইঙ্গিত দিয়েছিল সৌদি সরকার। সে দেশের এক শীর্ষস্তরের আধিকারিক জানিয়েছিলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক দৃঢ় হয়েছে। আগামী দিনে এই সম্পর্কের বাঁধন যাতে আরও শক্ত হয়, আঞ্চলিক শান্তি যাতে বজায় থাকে, আমরা সেই চেষ্টা করব।’’

শুক্রবার নয়াদিল্লি-রিয়াধ মৈত্রীর কথা বলেছেন রণদীপও। কিন্তু সেই সঙ্গেই ইসলামাবাদ-রিয়াধ প্রতিরক্ষা চুক্তির অভিমুখ পর্যালোচনার বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার নিরিখে আমরা এর (পাক-সৌদি চুক্তি) প্রভাব বিশ্লেষণ করব।’’ প্রসঙ্গত, আগামী দিনে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাধলে সৌদি সরকার পাকিস্তানকে অত্যাধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদ, রসদ দিয়ে সাহায্য করবে কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ পর্বে তুরস্ক এবং আজ়ারবাইজান থেকে এমন সাহায্য পেয়েছিল। রিয়াধের সাহায্য পেলে, সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কোনও জ্বালানি সঙ্কটেও পড়তে হবে না ইসলামাবাদকে। এ ছাড়া পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার অন্যতম নির্ভরযোগ্য মিত্র সৌদির হাতে অত্যাধুনিক মার্কিন ও ইউরোপীয় যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যা পাকিস্তানের হাতে এলে উপমহাদেশে সামরিক ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement