‘অপারেশন সিঁদুর’-এর চার মাস পার। ভারতের হাতে মার খাওয়ার দাগ পিঠে নিয়েই এ বার নয়াদিল্লির ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সেরে ফেলল পকিস্তান। রিয়াধ ও ইসলামাবাদের সেই সমঝোতার খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মনে ঘুরছে একটি প্রশ্ন। আগামী দিনে দুই প্রতিবেশীর যুদ্ধে নয়াদিল্লির সঙ্গে ‘মিত্রতা’ ভুলে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলদের পাশে দাঁড়াবে ওই আরব মুলুক? হাত উপুড় করে পাক সেনাকে হাতিয়ার ও গোলা-বারুদ সরবরাহ করবে সৌদি প্রশাসন? এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।
চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর রিয়াধে সংশ্লিষ্ট সামরিক সমঝোতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করে দুই ইসলামীয় দেশ। এর পোশাকি নাম ‘কৌশলগত এবং পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’। গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়ার পর পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের কাঁধে হাত দিয়ে ছবি তোলেন সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। পশ্চিম এশিয়ার উপসাগরীয় আরব দেশটির প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে তোলা ছবিতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ়ের ঠোঁটে হাসির ঝিলিক লক্ষ করা গিয়েছে।
পাক-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তির পর গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয় রিয়াধ প্রশাসন। সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেখানে বলা হয়েছে, দু’টির মধ্যে কোনও একটি দেশ অপর কারও দ্বারা আক্রান্ত হলে, তাকে দু’জনের উপরেই আঘাত হিসাবে গণ্য করা হবে। সমঝোতার এই শর্তটির সঙ্গে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় সামরিক জোট ‘উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা’র (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন বা নেটো) মিল রয়েছে। ফলে এর মাধ্যমে ‘আরব নেটো’র সূচনা হল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।
সংশ্লিষ্ট চুক্তিতে উদ্বেগের জায়গা একটি। সেটা হল, আগামী দিনে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাধলে ইসলামাবাদকে কি অত্যাধুনিক হাতিয়ার, গোলা-বারুদ, রসদ, এমনকি সৈনিক দিয়েও সাহায্য করবে সৌদি সরকার? এখন থেকেই তা ভাবাচ্ছে সাবেক সেনাকর্তাদের। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, আরব দেশটির হাতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘এফ-১৫’ এবং ইউরোপের পাঁচ দেশের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘ইউরোফাইটার টাইফুন’ লড়াকু জেট। এ ছাড়া সংঘাতের পরিস্থিতিতে জ্বালানির দিক থেকেও নয়াদিল্লিকে চরম বিপদে ফেলতে পারে রিয়াধ।
ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা অবশ্য মনে করেন, আগামী দিনে ভারত-পাক সংঘর্ষ যতই তীব্র হোক না কেন, তাতে মাথা গলাবে না সৌদি সরকার। সংশ্লিষ্ট চুক্তির পর রিয়াধের এক পদস্থ কর্তার মন্তব্যে মিলেছে সেই ইঙ্গিত। সংবাদসংস্থা ‘রয়টার্স’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘নয়াদিল্লির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক বেশি দৃঢ় এবং শক্তিশালী। এই চুক্তি তাতে ফাটল ধরাতে পারবে না।’’
বিশেষজ্ঞেরা অবশ্য এর জন্য ভারত এবং সৌদির দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে দায়ী করেছেন। বর্তমানে এ দেশের চতুর্থ বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হল রিয়াধ। উল্টো দিকে, আরব দেশটির ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ২০২৪-’২৫ আর্থিক বছরে ৪,১৮৮ কোটি ডলারের পণ্য আদানপ্রদান করেছে এই দুই দেশ। এই অঙ্ক আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তা ছাড়া আরব মুলুকটির সঙ্গে ভারতের গভীর সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন রয়েছে। প্রতি বছর আরব মুলুকটির মক্কা ও মদিনায় হজ করতে যান এ দেশের বহু ধর্মপ্রাণ মুসলিম।
অন্য দিকে, ‘ইসলামীয় ভ্রাতৃত্ববোধ’-এর (ইসলামিক ব্রাদারহুড) পৃষ্ঠপোষক পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদির বাণিজ্যিক সম্পর্ক মাত্র ৩০০-৪০০ কোটি ডলারে সীমাবদ্ধ। শুধু তা-ই নয়, দেউলিয়ার দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা ইসলামাবাদকে প্রায়ই মোটা অঙ্কের আর্থিক সাহায্য দিতে হয় রিয়াধকে। ফলে সংশ্লিষ্ট চুক্তিটিকে হাতিয়ার করে ভারতের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলরা আরব মুলুকটির থেকে ‘ফাঁকা চেক’ পাবেন, সেই ধারণা অবান্তর এবং কষ্টকল্পিত, এমনটাই বলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা।
এ ব্যাপারে এক প্রশ্নের উত্তরে সংবাদসংস্থা ‘রয়টার্স’কে সৌদি প্রশাসনের শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তিতে কোনও সুনির্দিষ্ট দেশের নাম বলা হয়নি। কোনও ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসাবেও এই প্রতিরক্ষা চুক্তি করছে না রিয়াধ। ভারতের ব্যাপারে আমরা কিন্তু সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী। আঞ্চলিক শান্তিতে অবদান রাখার চেষ্টা সব সময় করা হবে।’’ চুক্তির পর তাঁর এই প্রতিক্রিয়াকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ উল্টো যুক্তি দিয়েছেন ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভেলিনা চাকারোভা। তাঁর কথায়, ‘‘সংশ্লিষ্ট চুক্তির ফলে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের শক্তির ভারসাম্যে বড় বদল আসার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। ভারতের দিক দিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন এবং জটিল হতে পারে।’’ তবে সংশ্লিষ্ট চুক্তির সুবিধা দু’পক্ষই দু’ভাবে নিতে চাইবে বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি।
গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় বোমাবর্ষণ করে ইহুদি বিমানবাহিনী। ওই সময়ে মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরও কয়েকটি দেশে হামলা চালায় ইজ়রায়েল। সেই তালিকায় ছিল পশ্চিম এশিয়ায় লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং উত্তর আফ্রিকার তিউনিশিয়া। এ ছাড়া প্যালেস্টাইনের গাজ়ায় ক্রমাগত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তেল আভিভের ফৌজ। এই পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েলি ‘আগ্রাসন’ ঠেকাতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুসলিম দেশগুলির মহাসম্মেলনের আয়োজন করে উপসাগরীয় দেশ কাতার।
সংশ্লিষ্ট বৈঠকে ওঠে নেটোর আদলে ইসলামীয় সামরিক জোট তৈরির প্রসঙ্গ, যার প্রস্তাব দিয়ে খবরের শিরোনামে আসেন পাকিস্তান উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ইশক দার। দোহার সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামীয় দেশগুলিতে বার বার আক্রমণ এবং গণহত্যা চালিয়ে কোনও ভাবেই পার পেতে পারে না ইজ়রায়েল।’’ আর তাই ‘ইহুদি রাষ্ট্রটির নকশা’ পর্যবেক্ষণের জন্য ‘আরব-ইসলামিক টাস্ক ফোর্স’ গঠনের দাবি তোলেন তিনি।
সূত্রের খবর, দোহার বৈঠকে প্রস্তাবিত টাস্ক ফোর্সের নিয়ন্ত্রণে ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’কে (পড়ুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) রাখতে চেয়েছে ইসলামাবাদ। এ ব্যাপারে তুরস্ককে পাশে পেতে পাক সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে জানা গিয়েছে। কারণ, রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলদের হাতে নেই কোনও নিজস্ব এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। চিন থেকে আমদানি করা ‘এইচকিউ-৯পি’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেন তাঁরা। অন্য দিকে, ঘরের মাটিতে শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স তৈরির মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে আঙ্কারা।
এ ছাড়া যৌথ আরব সামরিক কমান্ড তৈরির প্রস্তাব নিয়েও দোহার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, যার সদর দফতর থাকবে মিশরের রাজধানী কায়রোতে। শুধু তা-ই নয়, এর নেতৃত্ব নিজের হাতে রাখতে চাইছে উত্তর আফ্রিকার ‘পিরামিডের দেশ’। বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান, আগামী দিনে সৌদির মতো তুরস্ক এবং মিশরের সঙ্গে একই রকমের প্রতিরক্ষা চুক্তি করার চেষ্টা চালাবে ইসলামাবাদ। পাক সরকার তাতে সাফল্য পেলে নয়াদিল্লির রক্তচাপ যে কয়েক গুণ বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
গত এপ্রিলে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারান পর্যটক-সহ মোট ২৬ জন। ওই ঘটনার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ৬৫ বছরের পুরনো ‘সিন্ধু জলচুক্তি’ স্থগিত করে নয়াদিল্লি, যা নিয়ে বার বার ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে ইসলামাবাদ। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, নদীর জল নিয়ে আসন্ন সংঘর্ষের প্রস্তুতি এখন থেকে নিতে শুরু করেছেন রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলরা। সেই কারণে সৌদি, তুরস্ক এবং মিশরকে কাছে টানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
পশ্চিম এশিয়ার আরব দেশগুলির অবশ্য এই ধরনের সামরিক চুক্তির নেপথ্যে অন্য হিসাব রয়েছে। পরমাণু শক্তিধর পাক ফৌজকে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চাইছে তারা। এতে ওই এলাকার দেশগুলির মানসিক জোর যে কয়েক গুণ বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। কারণ, ইহুদিদের অস্ত্রভান্ডারে রয়েছে আণবিক হাতিয়ার। আরব দেশগুলির একাংশের দাবি, সেই কারণেই বার বার তেল আভিভের সঙ্গে যুদ্ধে হারতে হচ্ছে তাদের।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, অন্য কোনও দেশের হয়ে ভাড়াটে যোদ্ধা হিসাবে কাজ করার প্রভূত অভিজ্ঞতা রয়েছে পাক সেনার। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত জর্ডনে কর্মরত ছিলেন সাবেক পাক সেনাপ্রধান তথা প্রেসিডেন্ট জেনারেল জ়িয়া উল হক। ওই সময় প্যালেস্টাইনি শরণার্থীদের বিরুদ্ধে আম্মানের কুর্সিবদলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। ইতিহাসে তাঁদের বিদ্রোহ জায়গা পেয়েছে ‘ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর’ নামে, যা দমন করতে বড় ভূমিকা নেন জেনারেল জ়িয়া। পশ্চিমি প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে জর্ডনের বাহিনীকে নেতৃত্বও দেন তিনি।
২০১৬ সালে পাক সেনাপ্রধানের পদ থেকে অবসরগ্রহণ করেন জেনারেল রাহিল শরিফ। কর্মজীবন শেষ হতেই সটান সৌদি আরব পাড়ি দেন তিনি। আরব দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী শাখায় কাজ জুটে যায় তাঁর। বর্তমানে রিয়াধের ‘ইসলামিক মিলিটারি অ্যালায়েন্স টু ফাইট টেররিজ়ম’-এর দায়িত্বে রয়েছেন জেনারেল রাহিল। ইয়েমেনের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দমনে সৌদি সরকারের যাবতীয় পরিকল্পনার নেপথ্যে তাঁর মস্তিষ্ক রয়েছে বলে সূত্র মারফত মিলেছে খবর।
ইসলামীয় দেশগুলির মধ্যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীই সবচেয়ে বড়। শুধু তা-ই নয়, শক্তির নিরিখেও অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলির চেয়ে ঢের এগিয়ে রয়েছে ইসলামাবাদ। বিশ্লেষকদের দাবি, এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে পশ্চিম এশিয়ায় বিপুল পরিমাণে সৈন্য মোতায়েন করতে পারে রাওয়ালপিন্ডির জেনারেলরা। বিনিময়ে সেখান থেকে মোটা অর্থ তাঁদের পকেটে আসার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ভারতবিরোধী সন্ত্রাসবাদকে মদত দিতে যে তাঁদের সুবিধা হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কাতারের ‘আল-উদেইদ’ বিমানঘাঁটিতে রয়েছে পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ছাউনি। কিন্তু, ইজ়রায়েলি হামলার সময় সেখানে মোতায়েন থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সৈনিকেরা ‘শীত ঘুম’-এ থাকায় নিরাপত্তা নিয়ে ওয়াশিংটনের উপর ভরসা হারিয়েছে আরব দুনিয়া। এই পরিস্থিতিতে পাক-সৌদি সামরিক জোট নিঃসন্দেহে ইহুদিদের উপরে চাপ বাড়াল। ফলে আগামী দিনে ভারত-ইজ়রায়েলের মধ্যে সামরিক সমঝোতা হওয়ার রাস্তা পাকা হল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা দিতে গিয়ে ভারত সফরের ইঙ্গিত দেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি নয়াদিল্লিতে এলে দু’তরফে যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আলোচনা হবে, তা একরকম নিশ্চিত। অন্য দিকে পাক-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্র। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘‘আমরা এ বিষয়ে অবহিত। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’