India Lockdown

‘অন্তত একটু জল খেতে দিন’

রাস্তাতেই দিন কাটে যাদের, সেই পথশিশুরা পড়েছে বিপাকে।

Advertisement

সং‌বাদ সংস্থা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৪৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

হাত জোড় করে রয়েছে বছর এগারোর এক কিশোর। সরকারের কাছে তার আর্জি, ‘‘আমার আর আমার তিন ভাইবোনের জন্য অন্তত পানীয় জল দিন।’’ বছর বারোর এক কিশোরী বলছে, ‘‘আমার বাবা প্রচণ্ড মারধর করত। তার পরে রাস্তায় দিন কাটাই। কিন্তু এমন অবস্থায় পড়িনি কখনও।’’

Advertisement

করোনা-সতর্কতা আর লকডাউনের সময়ে নিতান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে বেরোতে নিষেধ করেছে সরকার। কিন্তু রাস্তাতেই দিন কাটে যাদের, সেই পথশিশুরা পড়েছে বিপাকে। তাদেরই একাংশের কিছু ভিডিয়ো ক্লিপ হাতে এসেছিল দিল্লি, লখনউ, গাজ়িয়াবাদে সক্রিয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার। ওই সংস্থার অধিকর্তা সঞ্জয় গুপ্তের বক্তব্য, ‘‘পথশিশুদেরও কারও কারও হাতে এখন মোবাইল ফোন আছে। ১০-১৫ জনের একটি দলের এক জনের কাছে মোবাইল থাকে। তার মাধ্যমেই আমরা ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করি।’’ সঞ্জয় জানাচ্ছেন, লকডাউনের প্রথম তিন দিনে দিল্লি, লখনউ, গাজ়িয়াবাদ থেকে পথশিশুদের তৈরি বেশ কিছু ভিডিয়ো ক্লিপ হাতে আসে তাঁদের। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওরা ভিডিয়ো ক্লিপেই নিজেদের অবস্থা বেশি বোঝাতে পারবে বলে মনে করে। পথে বেলুন, পেন বিক্রি করে ওদের দিন চলে। এক দিন চলার মতো সঞ্চয়ও থাকে না।’’

ওই শিশুদের ভিডিয়ো সরকারের হাতে যাওয়ার পরে বেশ কয়েকটি এলাকায় খাবার ও জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সঞ্জয়। তবে তাঁর মতে, ওদের অন্তত দিনে তিন বার খেতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অনেক সময়ে ওই শিশুরা একটি বড় ঘরে অন্য অনেকের সঙ্গে থাকে। যাদের সঙ্গে থাকে তারা একে অপরের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়াকরে। ওদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথাও ভাবা প্রয়োজন।’’ পথশিশুদের খোঁজ নিতে ছোট ছোট দল তৈরি করতে রাজ্যগুলিকে অনুরোধ করেছেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: খাবার নেই, লাঠির যন্ত্রণা লুকিয়েছেন পুলিশের ভয়ে

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন