Rice

পেট্রলজাত জ্বালানির বিকল্প চান মোদী, বিশ্বকে খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি ভুলে তাই খুদ রফতানিতে রাশ

খাদ্য মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, জ্বালানি সঙ্কটের মোকাবিলাতেই এই পদক্ষেপ। ২০২৫ সালের মধ্যে ইথানল মিশ্রিত জ্বালানির উৎপাদন ২০ শতাংশ বাড়ানোর সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:১৫
Share:

খুদ রফতানিতে বিধিনিষেধ জারি কেন্দ্রের। ফাইল চিত্র।

বিভিন্ন দেশ থেকে ‘অনুরোধ’ এসেছিল। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই চাল এবং খুদ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কেন্দ্রের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ইথানল উৎপাদনে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাপূরণের লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।

Advertisement

মাস চারেক আগে জার্মানি সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন অনুমতি দিলে ভারত বাকি বিশ্বকে খাদ্যশস্যের জোগান দিতে এগিয়ে আসতে পারে। কিন্তু তার সপ্তাহ দু’য়েক পরেই গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। চলতি মাসের গোড়ায় প্রথমে বাসমতী ও সিদ্ধ বাদে বিভিন্ন চাল রফতানিতে রাশ টেনেছিল কেন্দ্র। তার এক দিন পরেই খাদ্য মন্ত্রক খুদ বা ভাঙা চাল এবং আংশিক ভাঙা চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

খাদ্য মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে সম্ভাব্য জ্বালানি সঙ্কটের মোকাবিলাতেই এই পদক্ষেপ। জ্বালানি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে ২০২৫ সালের মধ্যে ইথানল মিশ্রিত জ্বালানির উৎপাদন ২০ শতাংশ বাড়ানোর সওয়াল করেছিলেন মোদী। পেট্রল-ডিজেলের সঙ্গে মিশিয়ে যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে ইথানল। সে ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে পেট্রোপণ্য আমদানি অনেটটাই কমানো যেতে পারে। আর সেই ইথানল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় খুদ বা ভাঙা চাল।

Advertisement

অবশ্য বর্তমানে ভারতে ইথানল উৎপাদনের মূল কাঁচামাল চিনিকলগুলিতে ব্যবহৃত আখের অবশিষ্টাংশ। কিন্তু শুধু মাত্র চিনিকলের উপজাত দিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ইথানল উৎপাদন ২০ শতাংশ বাড়ানো কার্যত অসম্ভব বলেই খাদ্য মন্ত্রকের কর্তাদের একাংশের দাবি। ঘটনাচক্রে, ভারতীয় খুদ এবং আংশিক ভাঙা চালের মূল ক্রেতা চিন। সেখানকার কারখানাগুলিতে ইথানল উৎপাদনে তা ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়া আফ্রিকার কিছু গরিব দেশ খাদ্য হিসাবে খুদ কেনে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন