একটা হাসপাতাল। যে হাসপাতালের গোটা এলাকা জুড়েই রয়েছে হাতির পাল।
আসলে দেশে প্রথম বার অসুস্থ হাতিদের জন্য হাসপাতাল খোলা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মথুরায় এই হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এটি চালু করেছে।
হাসপাতালে রয়েছে ডিজিটাল এক্স রে, থার্মাল ইমেজিং, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, ঘুমপাড়ানি বন্দুক ও কোয়ারান্টাইন ব্যবস্থা। এই হাসপাতালে পর্যটকরাও যেতে পারেন, খুদে থেকে বুড়ো প্রতিটি হাতিরই চিকিৎসা হচ্ছে এখানে।
ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম অংশ হাতি, এ ছাড়াও চোরাশিকার, ট্রেনে চাপা পড়ে হাতির মৃত্যুও বেড়েই চলেছে। সবমিলে এই প্রাণীটির সুরক্ষার তাগিদেই প্রায় ১২ বর্গফুট জায়গা জুড়ে হাসপাতালটি তৈরি হয়েছে।
এই ওয়াইল্ড লাইফ এসওএস হাসপাতালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলেন, পোষা হাতি মানেই তা শুধুমাত্র নিজের কাজে লাগানোর জন্য এমন তো নয়। তাকে যত্নও করতে হবে।
অনেক জায়গায় মাহুতরা বিদ্যুতের তার দিয়ে হাতিকে আঘাত করেন, এ জাতীয় নিষ্ঠুর প্রথায় অসুস্থ হয়ে পড়ে হাতিগুলি। প্রাণীদের অধিকার রক্ষা সংগঠনও তাই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
২০১৭ সালে দেশে হাতির সংখ্যা ছিল ২৭,৩১২, যা ২০১২ সালের (৩০,৩১১) তুলনায় অনেকটাই কম। এশিয়ার প্রায় অর্ধেকেরও বেশি হাতি রয়েছে ভারতে।
হাতিদের যাতে ধাতব কোনও ধারালো হুক নিয়ে পোষ মানানোর চেষ্টা না করা হয়, তাও দেখছেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা। যমুনা নদীর পারে অবস্থিত এই হাসপাতাল একটি জঙ্গলের কাছেই অবস্থিত।
প্রায় ২৪টি হাতির চিকিৎসা চলছে এই মুহূর্তে এই হাসপাতালে। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে এটি চালু হয়। পর্যটকদের আকর্ষণ ও হাতিদের নিরাপত্তা, এই দুই মাথায় রাখা হয়েছে এই হাসপাতাল শুরুর সময়।
হাসপাতালের দায়িত্বে রয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। নিয়মিত আসেন ৩ জন চিকিত্সক।