India Pakistan Conflict

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাক সেনা চার লক্ষ মহিলাকে ধর্ষণ ও হত্যা করে! ইসলামাবাদকে তুলোধনা ভারতের

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মন্তব্যের সময়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গও তুলে ধরে ভারত। ওই সময়ে বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের) স্বাধীনতাকামী মানুষদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে এক সামরিক অভিযান চালিয়েছিল পাক সেনা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ১২:০৫
Share:

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনার অত্যাচার নিয়ে সরব ভারত। —ফাইল চিত্র।

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনার বর্বরতা নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে ইসলামাবাদকে তুলোধনা করল ভারত। ওই সময়ে প্রায় চার লক্ষ মহিলাকে ধর্ষণ করে হত্যার জন্য পাকিস্তানি সেনাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে নারী সুরক্ষা নিয়ে এক আলোচনায় পাকিস্তানকে বিঁধে এমনটাই জানাল ভারত।

Advertisement

মহিলাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ওই আলোচনাসভায় ভারতীয় দূত পার্বতানেনি হরিশ বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত প্রত্যেক বছর আমাদের দেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বিভ্রান্তিকর দীর্ঘ বক্তৃতা শুনতে হয়। বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রসঙ্গে, যেটির দিকে তাদের দীর্ঘ দিনের নজর রয়েছে। মহিলাদের শান্তি এবং নিরাপত্তার দিক থেকে আমাদের রেকর্ড অক্ষত।” এর পরেই পাকিস্তানকে নিশানা করে ভারতীয় দূত বলেন, “যে দেশ নিজের লোকের উপর বোমা ফেলে, গণহত্যা চালায়, তারা শুধু অতিরঞ্জন এবং ভুল দিকে চালিত করে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করতে পারে।”

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মন্তব্যের সময়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ভারতীয় দূত। ওই সময়ে বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের) স্বাধীনতাকামী মানুষদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে এক সামরিক অভিযান চালিয়েছিল পাক সেনা। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই দেশটি (পাকিস্তান) ১৯৭১ সালে অপারেশন সার্চলাইট চালিয়েছিল। নিজেদের সেনা দিয়ে চার লক্ষ মহিলাকে ধর্ষণ এবং হত্যায় অনুমোদন দিয়েছিল।”

Advertisement

সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বার বার পাকিস্তানকে নিশানা করছে ভারত। কয়েক দিন আগেই জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় ভারতীয় দূত মহম্মদ হুসেন বলেন, “যে দেশের মানবাধিকার রক্ষার রেকর্ড তলানিতে, মানবাধিকার নিয়ে বক্তৃতা দেওয়া তাদের মানায় না। ভারত এটিকে হাস্যকর বলে মনে করে। ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়ানোর জন্য তারা এই মঞ্চকে ব্যবহারের চেষ্টা করে। এটি তাদের ভণ্ডামিকেই প্রকাশ করে। এ সব অপপ্রচার ছড়ানোর পরিবর্তে তাদের উচিত নিজেদের দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের মোকাবিলা করা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement