ছবি: সংগৃহীত।
দু’দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছেই। এ অবস্থায় ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে আরও এক ধাপ এগোল দিল্লি। চিনের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া থেকে শুরু করে ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপরে বেজিংয়ের প্রভাব-বিস্তার, দুই ক্ষেত্রেই আরও গভীর ভাবে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। তবে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের এক শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিক আজ জানান, চিনা ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিল্প বিশেষজ্ঞ কিংবা আইনি উপদেষ্টা— এমন কোনও ব্যক্তিকে ভিসা দেওয়ার আগে তাঁর বিষয়ে ভাল করে যাচাই করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদেশ মন্ত্রককে।
ওই আধিকারিক আরও জানান, চিনা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় কর্মকাণ্ডও একেবারে কমিয়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আগে থাকতে স্বাক্ষরিত অন্তত ৫৪টি সমঝোতাপত্র নতুন করে পর্যালোচনা করে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইআইটি, বিএইচইউ, জেএনইউ-এর মতো প্রতিষ্ঠানও। অভিযোগ, কর্পোরেট সেক্টর থেকে শিক্ষাক্ষেত্র, রাজনীতি, বিভিন্ন পর্যায়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন। সেই অনুপ্রবেশ রুখতেই এই ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিষয়েও একই চিন্তাভাবনা চলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের উপরে মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরশীলতা কাটাতেই গত কয়েক সপ্তাহে এ ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে চিন যে প্রভাব বিস্তার করছে, তা-ও অনেকাংশে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। সম্প্রতি টিকটক-সহ ডজনখানেক চিনা মোবাইল অ্যাপ ব্লক করেছে ভারত। ভারতীয় সংস্থাগুলিতে চিনা লগ্নি নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ কিছু আইনি বদলও আনা হয়েছে। গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সংঘর্ষ এবং ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পরেই এ ধরনের পদক্ষেপ শুরু করেছে দিল্লি।