C-295 Aircraft fof IAF

আমদানির পালা অগস্টে শেষ হচ্ছে, এ বার মোদীর রাজ্যে তৈরি হবে প্রথম সামরিক পরিবহণ বিমান

‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অংশ হিসাবে স্পেনীয় নির্মাতা সংস্থা ‘এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গুজরাতে তৈরি হবে সি-২৯৫ সামরিক পরিবহণ বিমান। সহযোগী হবে ‘টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড’।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৫ ১৯:৪৮
Share:

সি-২৯৫ বিমান। —ফাইল চিত্র।

অগস্ট মাসেই শেষ হচ্ছে আমদানির পালা। পরবর্তী পর্যায়ে স্পেনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য মাঝারি ক্ষমতাসম্পন্ন সামরিক পরিবহণ বিমান সি-২৯৫ তৈরি হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতে।

Advertisement

স্পেনের বিমান নির্মাতা সংস্থা ‘এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গুজরাতের বরোদায় বিমান নির্মাণ কারখানায় সি-২৯৫ বানাবে ‘টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড’। ভারতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অংশ হিসাবে তৈরি হবে এই বিমান। গত বছরের অক্টোবরে স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে ওই কারখানার উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বরোদার বায়ুসেনা ঘাঁটিতেই ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য সি-২৯৫ বিমান তুলে দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তার আগে ২০২১ সালে স্পেনের সংস্থাটিকে ৫৭টি সি-২৯৫-এর বরাত দেওয়া হয়েছিল। হয়েছিল, ২২ হাজার কোটি টাকার ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, স্পেনের নির্মাতা সংস্থার থেকে ১৬টি বিমান ‘উড়ানের উপযুক্ত অবস্থায়’ ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য আমদানি করা হবে। বাকি ৪০টি বিমান ওই সংস্থা এবং টাটা গোষ্ঠীর সহযোগিতায় ভারতেই বানানো হবে। সাত দশকের পুরনো ব্রিটিশ ‘অ্যাভ্রো’ বিমানের পরিবর্ত হিসেবে বায়ুসেনাকে এই বিমান দেওয়াও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদী সরকার।

Advertisement

‘দ্য প্রিন্ট’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাচ্ছে, আমদানির শেষ বিমানটি আসতে চলেছে অগস্টে। চুক্তি অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ সি-২৯৫ ভারতে আসার কথা ছিল। তার এক মাস আগেই শর্তপূরণ করেছে ‘এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস’। বায়ুসেনা সূত্রের খবর, লাদাখ, সিকিম কিংবা অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-র সেনাঘাঁটিতে অস্ত্র এবং রসদ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে পারদর্শিতা প্রমাণিত করেছে। চিনা ফৌজের আগ্রাসনের আশঙ্কা দেখা দিলে সি-২৯৫ অগ্রবর্তী সেনাঘাঁটিগুলিতে দ্রুত পৌঁছে দিতে পারবে বাড়তি বাহিনী। সেই সঙ্গে সুবিধা হবে আহত বা অসুস্থ সেনাদের ফিরিয়ে আনা, প্রয়োজনে শত্রুপক্ষের উপর নজরদারির কাজেও। একসঙ্গে ৭১ জন সেনা বা প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম-সহ ৫০ জন প্যারাট্রুপার কমান্ডোকে নিয়ে পাড়ি দিতে পারে সি-২৯৫।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement