Hilsa

Hilsha: আরও আরও দাও ইলিশ, ফের আর্জি

বর্ষার শেষ বেলাটাই ইলিশের ডিম পাড়ার মরসুম বলে ও-পার বাংলায় এখন পদ্মা, মেঘনায় ইলিশ ধরা বন্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২১ ০৭:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

আশ্বাস ছিল আশাতীত ইলিশের— ৪৬০০ মেট্রিক টন। এসে পৌঁছল সাকুল্যে ১০৮৫ মেট্রিক টন। চার ভাগের এক ভাগও নয়। এ-পার বাংলার ইলিশ-রসিকদের পক্ষে ধাক্কাটা যথেষ্টই। তবে ঢাকা আবার দরাজ হতে পারে, আশায় আশায় আছেন দু’দেশের ইলিশ কারবারিরা।

Advertisement

বর্ষার শেষ বেলাটাই ইলিশের ডিম পাড়ার মরসুম বলে ও-পার বাংলায় এখন পদ্মা, মেঘনায় ইলিশ ধরা বন্ধ। ৩ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবরের এই মেয়াদ শেষেই ফের ইলিশ ধরা শুরু হবে। তার আগে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী মুনশি টিপুর কাছে এ দেশের তরফে দফায় দফায় দরবার করছেন ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ। কিন্তু ইলিশ পাওয়ার নিশ্চয়তা এখনও মেলেনি। মন্ত্রীমশাই এখন দুবাইয়ে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। আশা করা হচ্ছে, তিনি ফিরলেই এ বিষয়ে একটা সমাধানসূ্ত্র মিলতে পারে।

বাংলাদেশ এবং এ-পারের ইলিশ কারবারিরা এমনিতে মনে করেন, রোজ ৩০-৫০ মেট্রিক টন ঢুকলেই রোজকার চাহিদা মিটবে। ইলিশের মতো পচনশীল মাছ বেশি পরিমাণে ঢুকলেই বরং বিপদ। এ-যাত্রা ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে এক-এক দিনে ২০ থেকে ২৪৬ মেট্রিক টন ইলিশ এসেছে। তবে বাংলাদেশের কোনও কোনও ইলিশ কারবারি মনে করেন, পদ্মার ইলিশের কিছুটা পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো গেলে বাংলাদেশের বাজারেও ইলিশের দাম একটা জায়গায় থাকত। এ-যাত্রায় ঢাকা দু’দফায় ১১৩ জন কারবারিকে ৪০ টন করে ইলিশ পাঠানোর ছাড়পত্র দেয়। তবে তাঁদের অনেকের ইলিশ রফতানির পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা নেই।

Advertisement

ও-পার বাংলায় ইলিশের কারবার যাতে সুষ্ঠু ভাবে চলে, সেই লক্ষ্যে ঢাকার রফিকুল ইসলামের মতো কারবারিরাও পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে পাঠানোর পক্ষপাতী। ইলিশ আমদানিকারী তথা হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ারের কথায়, “ঢাকার পাঠানো মাছ পুজোর আগেই বিক্রি হয়ে যাবে। তাতে পুজোর মরসুমে অধিকাংশের কপালে পর্যাপ্ত ইলিশ না-ও জুটতে পারে! আশা এখন একটাই, ২৪ অক্টোবরের পরে যদি ফের ইলিশ মেলে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement