National News

একটি রাজনৈতিক প্রেমের গল্প, বিয়ে করছেন এমএলএ-আইএএস

রাজনীতির দাদাদের সঙ্গে প্রশাসনিক কর্তাদের লড়াই দেখতেই আমরা অভ্যস্ত। দোষারোপ, পাল্টা আঙুল তোলা চলে প্রায় সর্বত্র। কিন্তু এই উঠোন থেকে যে ভালবাসারও জন্ম হতে পারে তা প্রমাণ করলেন সবরিনধন এবং দিব্যা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৭ ১৩:৫০
Share:

রাজনীতির দাদাদের সঙ্গে প্রশাসনিক কর্তাদের লড়াই দেখতেই আমরা অভ্যস্ত। দোষারোপ, পাল্টা আঙুল তোলা চলে প্রায় সর্বত্র। কিন্তু এই উঠোন থেকে যে ভালবাসারও জন্ম হতে পারে তা প্রমাণ করলেন সবরিনধন এবং দিব্যা।

Advertisement

সম্প্রতি ফেসবুকে এক জন লিখলেন ‘কমিটেড’। সঙ্গে দু’জনেরই হাসি মুখের ছবি। ওঁদের মধ্যে একজন কেরালার কংগ্রেসের বিধায়ক কে এস সবরিনধন, অন্যজন আইপিএস অফিসার দিব্যা এস আইয়ার। ফেসবুকে নিজেদের একটি ছবি পোস্ট করে সবরিনধন লেখেন, ‘আমার বিয়ে নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করছিলেন। আমি সকলকে জানাতে চাই, কিছুদিন আগেই তিরুঅনন্তপুরমে সাব কালেক্টর দিব্যা এস আইয়ারের সঙ্গে আমার দেখা হয়। কাছাকাছি আসার পর আমরা বুঝতে পারি আমাদের চিন্তা, ধারণা, মূল্যবোধ অনেকটাই এক। দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে খুব শীঘ্রই দিব্যা আমার জীবনে আসতে চলেছেন।’’

নতুন এই সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত দিব্যাও। সংবাদ মাধ্যমকে এ দিন দিব্যা জানান, ‘‘রাজনীতিবিদ আর আই এ এস অফিসারের প্রেমের ঘটনা কোনও দিন শুনিনি। সকলের আশীর্বাদ চাই।’’ পরের মাসেই সবরিনধনকে বিয়ে করবেন বলে জানিয়েছেন দিব্যাও।

Advertisement

এই ছবিটিই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন সবরিনধন

দু’জনেরই বাড়ি তিরুঅনন্তপুরমে। এমবিএ করার পর টাটা ট্রাস্টে যোগ দিয়েছিলেন সবরিনধন। বাবার মৃত্যুর পর যোগ দেন রাজনীতিতে। ২০১৫ সালে কংগ্রেসের টিকিটে আরুভিক্কারা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জেতেন তিনি। ২০১৬ তে জেতেন বিধানসভা নির্বাচন। অন্য দিকে ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস করেছেন দিব্যা। ২০১৩ তে আই এ এস পাশ করে কোট্টায়ামের অ্যাসিস্ট্যান্ট কালেক্টর হন। বর্তমানে তিনি তিরুঅনন্তপুরমের সাব কালেক্টর পদে রয়েছেন।

দু’জনেরই কাজের ক্ষেত্রটাও প্রায় একই। কাজ করতে করতেই দেখা, সম্পর্ক, প্রেম।

সবরিনধনের রক্তেই অবশ্য লুকিয়ে রয়েছে ‘রাজনৈতিক’ প্রেমের বীজ। তাঁর পরিবারে এই ঘটনা কিন্তু নতুন নয়। সবরিনধনের বাবা কেরল বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার জি কার্তিকেয়ন বিয়ে করেছিলেন এম টি সুলেখাকে। সবরিনধনের মা সুলেখা ছিলেন বিখ্যাত এক কলেজের অধ্যাপক। পাশাপাশি সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু পরিবারের আপত্তিতে সেই বিয়ে সুখকর হয়নি। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন কার্তিকেয়ন ও সুলেখা। পরে তাঁদের লভ স্টোরি নিয়ে ‘নয়াম ভয়াকথামাক্কুন্নু’ নামে মলয়ালম ভাষায় একটি সুপারহিট ছবিও হয়েছিল।

তবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়নি সবরিনধন ও দিব্যার বেলায়। মাত্র ছয় মাস আগেই বছর তেত্রিশের সবরিনধনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ৩২ বছরের দিব্যার। ঘনিষ্ঠতা বাড়তে বেশি সময় লাগেনি। দুই পরিবারও মেনে নেন তাঁদের সম্পর্ক। অতএব মুধরেণ সমাপয়েৎ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন