তেজপ্রতাপ যাদব। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
পাঁচ মাস আগে বিতাড়িত হয়েছিলেন পরিবার এবং দল থেকে। তিন সপ্তাহ আগে ‘জনশক্তি জনতা দল’ (জেজেডি) গড়ার কথা ঘোষণা করে বিহারের বিধানসভা ভোটে আলাদা লড়াই করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। আরজেডি (রাষ্ট্রীয় জনতা দল) প্রধান লালুপ্রসাদের জ্যেষ্ঠ পুত্র তথা বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তেজপ্রতাপ যাদব প্রথম দফায় তাঁর নতুন দলের ২২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন। তিনি নিজে লড়বেন বৈশালী জেলার মহুয়া আসন থেকে।
২০১৫ সালের ভোটে মহুয়া আসন থেকেই জিতে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন তেজপ্রতাপ। ২০২০ সালে আসন বদলে সমস্তিপুর জেলার হাসনপুর থেকে আরজেডি প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন তিনি। মহুয়া থেকে থেকে জেতেন লালুর দলেরই মুকেশকুমার রওশন। সূত্রের খবর, এ বার তাঁকে হাজিপুরে আরজেডি প্রার্থী করতে পারেন লালুর কনিষ্ঠ পুত্র তেজস্বী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, আরজেডির টিকিট না-পাওয়া বিদ্রোহী নেতাদের প্রার্থী করতে পারেন তেজপ্রতাপ। তাই প্রথমে বেশি আসনে ‘ব্ল্যাক বোর্ড’ (জেজেডির নির্বাচনী প্রতীক) প্রার্থী ঘোষণা করেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ’ এবং ‘পারিবারিক মূল্যবোধ ক্ষুণ্ণ’ করার কারণে গত মে মাসে তেজপ্রতাপকে দল এবং পরিবার থেকে বিতাড়িত করেছিলেন লালু। তার পর থেকে ধারাবাহিক ‘অরাজনৈতিক’ কর্মসূচি পালন করেছেন বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তেজপ্রতাপ। গড়েছেন নতুন দল জেজেডি। পরিবার ও দল থেকে বিতাড়নের জন্য নাম না করে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তাঁর ভাই তথা ‘লালুর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী’ তেজস্বীকে। এ বার তিনি নিজের ‘নাক কেটে’ ভাইয়ের ‘যাত্রাভঙ্গ’ করতে সক্রিয় হলেন। লালুর এক কন্যা রাগিণী যাদবও ইতিমধ্যেই আরজেডির ‘বর্তমান পরিচালক’দের (আদতে নাম না করে তেজস্বীকে) বিরুদ্ধে ‘ত্যাগকে গুরুত্ব না দেওয়া’র অভিযোগ তুলেছেন।
নির্বাচন কমিশন গত ৬ অক্টোবর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে জানিয়েছে, এ বার বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে দু’দফায় ভোট হবে। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৬ নভেম্বর। ওই দফায় ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ১০-১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা পড়ার পর তা পরীক্ষা হবে ১৮ অক্টোবর। প্রথম দফার ভোটের প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করতে পারবেন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় মোট ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ওই দফার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে সোমবার (১৩ অক্টোবর)। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা করা যাবে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থীরা চাইলে নাম তুলে নিতে পারবেন। ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর।