লোকসভা নির্বাচন

চালু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি, ঠিক কী কী করা যাবে না জানেন?

১০ মার্চ নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৯ ১২:০২
Share:
০১ ১৫

১০ মার্চ নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। জানানো হল নির্বাচনী নির্ঘণ্ট। সারা দেশে মোট সাত দফায় ভোট হবে। ভোটগ্রহণ শুরু ১১ এপ্রিল থেকে। শেষ দফার ভোটগ্রহণ ১৯ মে। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা ২৩ মে।

০২ ১৫

নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার সঙ্গেই সারা দেশে চালু হয়ে গিয়েছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি (এমসিসি)। আচরণবিধি ভঙ্গ করলেই নেওয়া হয় কঠোর ব্যবস্থা। এই এমসিসি-র মধ্যে কী কী আছে জানেন?

Advertisement
০৩ ১৫

ভোটের দিন ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলি কী করতে পারবে, কী পারবে না, তাই বলে দেয় এমসিসি। আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকবে রাজনৈতিক বক্তৃতা, মিছিল থেকে ভোটের দিন  পোলিং বুথ, নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোর বয়ান, সব ক্ষেত্রেই।

০৪ ১৫

১৯৬০ সালে কেরলে বিধানসভা ভ‌োটে প্রথম বার প্রয়োগ করা হয় নির্বাচনী আচরণবিধি। ১৯৭৯ সাল থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সব ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

০৫ ১৫

এমসিসি অনুযায়ী, এই সময়ে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার কোনও প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে না। নতুন কোনও প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারবে না তারা।

০৬ ১৫

গুগল, ফেসবুক, টুইটার সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের নথিও জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনে।

০৭ ১৫

বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট শেষের ৪৮ ঘণ্টা আগে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে মাইক, লাউড স্পিকারের ব্যবহার।

০৮ ১৫

কোনও সংবাদমাধ্যম বা গণমাধ্যমে সরকারের তরফে কোনও রকম বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না।

০৯ ১৫

কোনও মন্ত্রী তাঁর দফতরকে কাজে লাগিয়ে কোনও রকম উন্নতির কাজ করতে পারবে না। তবে এলাকা পরিদর্শন করতেই পারেন।

১০ ১৫

প্রচারের কাজে সরকারি পরিবহণ কোনও ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।

১১ ১৫

কোনও উন্মুক্ত প্রাঙ্গন বা হেলিপ্যাড বিরোধীরা ব্যবহার করতে চাইলে, তাতে বাধা দেওয়া যাবে না। যে কোনও রকমের তাৎক্ষণিক নিয়োগও বন্ধ রাখতে হবে সরকারের তরফে, কারণ এতে ভোটদাতারা প্রভাবিত হতে পারেন।

১২ ১৫

শুধুমাত্র বিরোধী দলের কাজের সমালোচনাই করা যেতে পারে, কোনওরকম সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানো যাবে না প্রচারে।

১৩ ১৫

টাকা দিয়ে, ভয় দেখিয়ে, মিথ্যে কথা বলে প্রচার চালানো যাবে না।

১৪ ১৫

ভোট শুরুর প্রথম দিনের ভোটদান পর্ব শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগেই শেষ করতে হবে প্রচার। ওই সময়টাকে বলা হয় ‘ইলেকশন সাইলেন্স’। সুষ্ঠু ও সৎ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই এই আচরণবিধি প্রয়োগ করা হয়।

১৫ ১৫

বিধিভঙ্গ করলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট রাজনীতিক বা দলকে নোটিস পাঠায়। লিখিত উত্তর দিতে হয় অভিযুক্তকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement