অশ্বিনীকুমার চৌবে।— ফাইল চিত্র।
চালু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী বিধি। কিন্তু, তা মানতে চাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিধি ভেঙে নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর বক্তৃতা করা এবং প্রায় ৪০টি গাড়ির কনভয় নিয়ে যাওয়ার জন্য পথ আটকে ছিলেন সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট। তাতেই আঁতে ঘা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবের। গাড়ি থেকে নেমে রীতিমতো হুমকি দিতে শোনা যায় বিজেপির এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে।
পটনা থেকে প্রায় ১৭৭ কিলোমিটার দূরে বক্সার থেকে এ বারের নির্বাচনে লড়াই করছেন চৌবে। শনিবার একটি নির্বাচনী জনসভা ছিল তাঁর। সেখানে কমিশন অনুমোদিত সময়সীমা পার করে জনসভায় বক্তৃতা করার জন্য সভা শেষে আটকানো হয় তাঁকে। পাশাপাশি প্রায় ৪০টি গাড়ি নিয়ে কনভয় ছিল মন্ত্রীর সঙ্গে। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি বর্হিভূত। এই দুই কারণে আটকানো হয় মন্ত্রীকে। এর পরেই ওই কর্মকর্তাকেউত্তেজিত মন্ত্রীর হুমকি, ‘‘খবরদার, তামাশা করবেন না আপনি!’’ আর মন্ত্রীর হুমকি দেওয়ার মুহূর্তের ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এর পরই সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট কেকে উপাধ্যায় জবাব দেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানতেই হবে!” সরকারি অফিসারের ওই বক্তব্য শুনে আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন মন্ত্রী। বলেন, ‘‘আমাকে জেলে পাঠাতে চান! চল, ঠিক আছে, পাঠান জেলে।”
আরও পড়ুন: পাঁচ বছরে ৬ কোটি! নতুন চাকরির দাবি সামনে এনে বিতর্কে মোদী সরকার
আরও পডু়ন: রামদাসের শোকগাথাই সার, আলো পড়ে না তেলঙ্গ টাকলির মুখে
মন্ত্রীর মৌখিক আক্রমণের মুখে পড়েও শান্ত হয়েই ওই সরকারি কর্মকর্তা উত্তর দেন যে, আদেশ রয়েছে গাড়িগুলি বাজেয়াপ্ত করার, মন্ত্রীকে নয়। যদিও উত্তেজিত মন্ত্রী ওই আধিকারিকের কথা শুনতে মোটেও রাজি ছিলেন না। তিনি বলেন, “গাড়িগুলো আমার, এগুলো বাজেয়াপ্ত করা যাবে না!”
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপাধ্যায় বলেন,‘‘আমরা শুনেছি জেলা ময়দানে অনেক গাড়ি পার্ক করা ছিল। কনভয়ে প্রায় ৩০-৪০ টি গাড়ি ছিল। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)