যৌনচক্রে নাম মধ্যপ্রদেশের নেতা-মন্ত্রীদের

জানা গিয়েছে, কলেজ পড়ুয়াদের পাশাপাশি এই চক্রে জড়িত বলিউডের দ্বিতীয় সারির কিছু অভিনেত্রীও। হোটেলের ঘরে গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে আপত্তিকর অবস্থায় নেতা-মন্ত্রীদের ভিডিয়ো তুলতেন তাঁরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৯
Share:

মধ্যপ্রদেশের ‘হানি ট্র্যাপ’ কাণ্ডে উঠে এল নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রীদের নাম।

যৌনচক্রে জড়াল মধ্যপ্রদেশের আট প্রাক্তন মন্ত্রী ও জনা দশেক শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার নাম। রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) হাতে আসা চার হাজার মিডিয়া ফাইল থেকে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ ওই মন্ত্রী ও নেতাদের ভিডিয়ো, ছবি ও সেক্স চ্যাট উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, কলেজ পড়ুয়াদের পাশাপাশি এই চক্রে জড়িত বলিউডের দ্বিতীয় সারির কিছু অভিনেত্রীও। হোটেলের ঘরে গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে আপত্তিকর অবস্থায় নেতা-মন্ত্রীদের ভিডিয়ো তুলতেন তাঁরা। পরে তা দিয়ে ‘ব্ল্যাকমেল’ করে টাকা আদায় হত।

Advertisement

এই চক্রের মাথা শ্বেতা স্বপ্নিল জৈন ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে। ভোপালের বিভিন্ন অভিজাত ক্লাবে যাতায়াত ছিল এই চক্রে জড়িত মেয়েদের। সেখানে আসা নেতাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন তাঁরা। শ্বেতা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালাতেন। রাজ্যের বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা ছিল বলে জানা গিয়েছে।

জেরায় তিনি জানান, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের কলেজ পড়ুয়াদের চাকরি ও বিলাসবহুল জীবনযাপনের লোভ দেখিয়ে এই চক্রে নিয়ে আসতেন। ধনী ও ক্ষমতাশালীদের ১ হাজারের বেশি ‘আপত্তিকর’ ভিডিয়ো তুলেছিল চক্রটি। শ্বেতা জৈনের বাড়ি থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, নথিপত্র ও ভিডিয়ো উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন