maharashtra

Maharashtra Crisis: শিন্ডে বা বিজেপি নয়, উদ্ধবের আস্থাভোট চাইবেন প্রহার পার্টির এই ‘বাহুবলী’ মন্ত্রী?

রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবকে আস্থাভোটের নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন জানাতে পারেন ওমপ্রকাশ বাবুরাও কাড়ু ওরকফে বাচ্চু।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২২ ১৬:৫৩
Share:

শিন্ডে, উদ্ধব এবং বাচ্চু। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস নন। নন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের নেতা একনাথ শিন্ডেও। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে আস্থাভোটের নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন জানাতে পারেন প্রহার জনশক্তি পার্টির বিধায়ক তথা মন্ত্রী ওমপ্রকাশ বাবুরাও কাড়ু ওরফে বাচ্চু। মঙ্গলবার বিজেপির একটি সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

বিদর্ভ এলাকার অমরাবতী জেলার প্রভাবশালী নেতা বাচ্চু ২০০৪ সাল থেকে টানা চার বার অচলপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতেছেন। প্রথম তিন বার নির্দল হিসেবে। ২০১৯ সালে নিজের গড়া দল প্রহার জনশক্তি পার্টির প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রার্থীদের হারিয়ে। শুধু তাই নয়, ওই ভোটে নিজের দলের আরও এক প্রার্থীকে জিতিয়ে আনেন তিনি। এর পর শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটে ‘মহাবিকাশ আঘাডী’ সরকারকে সমর্থনের বিনিময়ে মন্ত্রিত্ব পান উদ্ধব সরকারে। প্রসঙ্গত, বিদর্ভের কৃষকদের স্বার্থরক্ষার দাবিতে প্রহার জনশক্তি পার্টি গড়েছিলেন বাচ্চু। কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিল তাঁর দল।

এ বার গোড়া থেকেই বিদ্রোহী শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে রয়েছেন বাচ্চু। গুয়াহাটির হোটেলে গত কয়েক দিনে দফায় দফায় শিন্ডে এবং বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর ‘রণকৌশল’ তৈরি হয়েছে বলে পদ্ম শিবিরের একটি সূত্রের খবর।

Advertisement

ওই সূত্র জানাচ্ছে, দলবিরোধী কার্যকলাপ সংক্রান্ত আইনি ‘ফাঁস’ এড়াতেই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে আস্থাভোটের দাবি জানানোর বিষয়ে শিন্ডে শিবিরের বিধায়কদের একাংশের আপত্তি রয়েছে। অন্য দিকে, বিজেপি গোড়া থেকেই দাবি করে আসছে, মহারাষ্ট্র সরকারের সাম্প্রতিক সঙ্কটে তাদের কোনও ভূমিকা নেই। তাই আগ বাড়িয়ে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে উদ্ধব সরকারের পতনের দায় নিতে চাইছেন না ফডণবীস-অনুগামীরা। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের ‘হাতিয়ার’ হতে চলেছেন বাচ্চু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন