Punjab Crime

প্রেমে আপত্তি, দু’হাত বেঁধে কন্যাকে খালে ফেলে দিলেন বাবা! নিজেই রেকর্ড করলেন ভিডিয়ো

থানায় গিয়েও বাবা নির্বিকার। জানালেন, কন্যা কথা শোনেননি বলেই তাঁকে এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে। প্রেমের সন্দেহে কন্যার হাত বেঁধে খালের জলে তাঁকে ফেলে দিয়েছেন অভিযুক্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:২০
Share:

পঞ্জাবে কন্যাকে খালের জলে ডুবিয়ে মারার পরিকল্পনা বাবার। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কন্যার প্রেমে আপত্তি ছিল বাবার। তাই ‘শাস্তি’ দিলেন। দু’হাত বেঁধে খালের জলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলেন কন্যাকে। সেই ঘটনার ভিডিয়ো নিজের ফোনেই রেকর্ড করলেন! দু’দিন পরেও তরুণীর খোঁজ মেলেনি। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে থানায় গিয়েও বাবা নির্বিকার। জানালেন, কন্যা কথা শোনেননি বলেই তাঁকে এই কাজ করতে হয়েছে।

Advertisement

পঞ্জাবের ফিরোজ়পুরের ঘটনা। অভিযুক্তের নাম সুরজিৎ সিংহ। তাঁর কন্যা আদৌ কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। সুরজিৎ কন্যাকে প্রেমের ব্যাপারে সন্দেহ করতেন। মনে করতেন, যে যুবককে তাঁর পছন্দ নয়, সেই যুবকের সঙ্গেই কন্যা প্রেম করছেন। এ নিয়ে একাধিক বার কন্যার সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তার পরেই এই পদক্ষেপ করেন সুরজিৎ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দুয়েক আগে কন্যার দু’হাত দড়ি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। তার পর খালের ধারে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধাক্কা মেরে জলে ফেলে দেন। মোবাইলে ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। এই ঘটনার সময় তরুণীর মা পিছন থেকে ‘আমার মেয়ে কোথায় গেল?’ বলে চিৎকার করে উঠেছিলেন। কিন্তু তত ক্ষণে তরুণী জলে পড়ে গিয়েছেন।

Advertisement

সুরজিতের এক আত্মীয় ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেন। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং তরুণীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। তবে এখনও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফিরোজ়পুরের সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) ভূপেন্দ্র সিংহ সিধু জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ভিডিয়োটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

থানায় যখন সুরজিৎকে ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার মেয়েকে বুঝিয়েছিলাম। কিন্তু ও কথা শোনেনি। তার পর আমাকে এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে।’’ তরুণীর খোঁজ চলছে। তাঁকে পাওয়া গেলে পরিণতির ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে পুলিশ। আপাতত অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement