উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে আত্মঘাতী ব্যবসায়ী। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল যাচ্ছিল না। ঋণে ডুবে গিয়েছিলেন। মেয়ের জন্য ইনসুলিন কেনার টাকাও জোগাড় করতে পারছিলেন না। অর্থাভাবের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে অবসাদে আত্মহত্যা করলেন উত্তরপ্রদেশের এক বাসিন্দা। গুলি করে আত্মঘাতী হন লখনউয়ের ওই ব্যবসায়ী।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির জমি-বাড়ির ব্যবসা রয়েছে। তাঁর মেয়ের মধুমেহের সমস্যা রয়েছে। নিয়মিত ইনসুলিনের প্রয়োজন হয় মেয়ের। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ব্যবসা ভাল চলছিল না তাঁর। বাজার থেকে অনেক ঋণ হয়ে গিয়েছিল। এই অবস্থায় নিজের অফিসে বসেই গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সূত্রে খবর, অফিসের নিরাপত্তারক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছেন তিনি। তবে সেটি তাঁর কাছে কী ভাবে এল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা।
আত্মহত্যার কিছু সময় আগেই সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন তিনি। সেখানে আর্থিক দুর্দশার কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন তিনি। পরিবারকে এই অনটন থেকে উদ্ধারের জন্য সকলের কাছে সাহায্যের আর্তি করেন ওই ব্যবসায়ী। অর্থাভাবের জন্য মেয়ের ইনসুলিন কিনতে পারছেন না, সে কথাও ওই ভিডিয়ো বার্তায় জানান লখনউয়ের ব্যবসায়ী। ওই ভিডিয়োর কিছু সময় পরেই গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
ভিডিয়োটি পরিজনদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানান। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোনোর আগেই আত্মঘাতী হন ব্যবসায়ী। শুধুমাত্র ঋণের কারণেই এই আত্মহত্যা, না কি নেপথ্যে অন্য কোনও বিষয় রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নিরাপত্তারক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্রটি তিনি কী ভাবে পেলেন, তা-ও তদন্তের আওতায় রাখা হচ্ছে।