—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে সহপাঠিনীদের অশ্লীল ছবি তৈরির অভিযোগ উঠল ছত্তীসগঢ়ের এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের বিরুদ্ধে। তাঁর মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ থেকে হাজারের বেশি ছবি ও ভিডিয়ো উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করেছে। ছবি ও ভিডিয়োগুলি কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে কোথাও ছড়িয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন কর্তৃপক্ষ।
ছত্তীসগঢ়ের নব রায়পুর শহরের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ওই ঘটনায় অভিযুক্ত। তিনি বিলাসপুরের বাসিন্দা। ভবিষ্যতের কথা ভেবে কলেজ কর্তৃপক্ষ এখনও তাঁর নাম প্রকাশ করেননি। গত সোমবার এই ছাত্রের বিরুদ্ধে কলেজের মোট ৩৬ জন ছাত্রী কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। দাবি, তাঁদের ছবি এআই-এর সাহায্যে বিকৃত করা হয়েছে। পর্নোগ্রাফিতে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে তাঁদের অশ্লীল ছবি। এর পরেই কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে।
৩৬ জন ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন। অবিলম্বে ওই ছাত্রের ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ল্যাপটপ, মোবাইল, পেন ড্রাইভ। কলেজের রেজিস্ট্রার শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে মূলত মহিলারা রয়েছেন। অভিযোগকারিণীদের সঙ্গে এবং তাঁদের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। কোনও ব্যক্তিগত তথ্য যাতে ফাঁস না হয়, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করা হবে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ছাত্রের কাছ থেকে যে সমস্ত বৈদ্যুতিন ডিভাইস পাওয়া গিয়েছে, তাতে ওই কলেজের ছাত্রীদের হাজারের বেশি অশ্লীল ছবি ও ভিডিয়ো ছিল। সেগুলি বাইরে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানতে সাইবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। স্থানীয় থানার ইন-চার্জ জানিয়েছেন, এখনও এই ঘটনায় লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তাঁরা পদক্ষেপ করবেন।