—প্রতীকী ছবি।
ত্রিপুরায় ১৪ মাসের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। খুনের পর তার দেহ একটি ধানজমিতে পুঁতে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়েরা মাটি খুঁড়ে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করেন। উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর এলাকার শনিবারের এই ঘটনায় অভিযুক্তকে অসমের নিলমবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ।
ত্রিপুরা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত পেশায় দিনমজুর। ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওই শিশুকন্যাকে মায়ের কাছ থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। অভিযোগ, গোপন একটি জায়গায় ওই শিশুকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ধর্ষণ, পরে খুন করেন অভিযুক্ত। প্রমাণ লোপাটের জন্য পানিসাগর এলাকারই একটি ধানজমিতে দেহ পুঁতে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘণ্টা তিনেক পরেও মেয়ে বাড়ি ফিরছে না-দেখে চিন্তিত হয়ে পড়়েন মা। ত্রিপুরা পুলিশের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “তিন ঘণ্টা পরেও মেয়ে বাড়ি না-আসায় নাবালিকার মা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। স্থানীয়দের বিষয়টি জানান তিনি। তার পরেই বাসিন্দারা আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামেন। ধানজমি খুঁড়ে উদ্ধার হয় দেহ।”
পানিসাগর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুমন্ত ভট্টাচার্য পিটিআই-কে জানান, দেহ উদ্ধার করার পর সেটির ময়নাতদন্ত হয়। তার পর দেহ তুলে দেওয়া হয় শিশুটির পরিবারের হাতে। অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও এই ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। সোমবার অভিযুক্তকে নিম্ন আদালতে হাজির করানো হয়েছে।