গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন মনোহর পর্রীকর। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি শপথ নেন। আগামী বৃহস্পতিবার বিধানসভায় তিনি আস্থাভোট যাবেন।
এ দিন সকালেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ শেষমেশ হাসি ফুটিয়েছিল বিজেপি-র মুখে। গোয়ায় বিজেপিকে সরকার গড়তে ডাকার বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল কংগ্রেস। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যার ফলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোহর পর্রীকরের শপথ গ্রহণে আজ আর কোনও ছিল না।
৪০ আসনের গোয়ায় সরকার গড়তে দরকার ২১ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। নিজেদের দলের ১৩ জনের পাশাপাশি অন্য ৯ বিধায়কের সমর্থন জোগাড় করে আগেই রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহার কাছে জমা দিয়েছিল বিজেপি। এর পরে সরকার গড়ার ডাকও পেয়েছিল তারা। ঠিক হয়, আজ বিকেলে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন পর্রীকর। কিন্তু, রাজ্যপাল বিজেপিকে সরকার গড়তে ডাকার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় কংগ্রেস। ১৭ জন বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও তাদের কেন ডাকা হল না, সেই প্রশ্নও তোলা হয়। পাশাপাশি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যে একক বৃহত্তম দলকে সরকার গড়তে ডাকাই সংসদীয় রীতি। রাজ্যপাল মৃদুলা সিন্হা সেই রীতি ভেঙেছেন।
আরও পড়ুন: বিনাযুদ্ধে নয় গোয়া
বিষয়টি নিয়ে দ্রুত শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের কাছে আজ আবেদন জানান গোয়ার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা চন্দ্রকান্ত কাভলেকর। হোলির জন্য আদালত বন্ধ ছিল। কিন্তু, শপথের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হওয়ায় এ নিয়ে জরুরি শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করা হয়। এ দিন সেই শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট চন্দ্রকান্ত কাভলেকরের আইনজীবীকে জানিয়ে দেয়, যদি প্রয়োজনীয় সংখ্যা থাকে তবে আপনারা রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসসেন না কেন। পাশাপাশি ওই বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, কেন রাজ্যপালের কাছে না গিয়ে আদালতে এসেছে কংগ্রেস?