ED Raid in Himachal

ঘরে রাশি রাশি মদের বোতল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ৪০টি! হিমাচলে সরকারি আধিকারিকের বাড়িতে হানা ইডি কর্তাদের

অভিযুক্ত আধিকারিকের নাম নিশান্ত সারীন। নিশান্ত হিমাচলের ধর্মশালায় সহকারী ড্রাগ কন্ট্রোলার (এডিসি) পদে নিযুক্ত। আগে থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ঘুষ নেওয়া এবং সরকারি পদের অপব্যবহারের মতো নানা অভিযোগ রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ ১৪:১০
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এক সরকারি আধিকারিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল রাশি রাশি মদের বোতল, নগদ টাকা! হিমাচল প্রদেশে ওই আধিকারিকের বাড়িতে হানা দিয়ে এগুলি বাজেয়াপ্ত করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্তারা। পাশাপাশি, তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানার একাধিক অঞ্চলে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আধিকারিকের নাম নিশান্ত সারীন। নিশান্ত হিমাচলের ধর্মশালায় সহকারী ড্রাগ কন্ট্রোলার (এডিসি) পদে নিযুক্ত। আগে থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ঘুষ নেওয়া এবং সরকারি পদের অপব্যবহারের মতো নানা অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি নিশান্তের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করে হিমাচল প্রদেশ পুলিশের নজরদারি ও দুর্নীতিদমন বিভাগ। এর পরেই তহবিল তছরুপ প্রতিরোধী আইনের (পিএমএলএ) অধীনে তদন্ত শুরু করে ইডি। গত ২২ ও ২৩ জুন হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা এবং পঞ্জাবের সাতটি স্থানে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালান ইডি-র তদন্তকারীরা। নিশান্তের সরকারি দফতর এবং আবাসনের পাশাপাশি তাঁর আত্মীয়স্বজন ও সহযোগীদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। আর তাতেই বিপুল পরিমাণ টাকা এবং রাশি রাশি মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে নিশান্ত ও তাঁর সহযোগী কোমল খন্নাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। টাকা নয়ছয়ের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া এবং ভয় দেখানোর অভিযোগও রয়েছে, যা থেকে প্রমাণিত হয়, নিশান্ত সরকারি পদের যথেচ্ছ অপব্যবহার করতেন। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। জেল থেকে বেরোনোর পর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে ধর্মশালায় স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, ইডি-র অভিযানে নিশান্তের বাড়ি ও বিভিন্ন দফতর থেকে ওষুধের লাইসেন্স, একাধিক শো কজ় নোটিস, ল্যাপটপ, একাধিক পেন ড্রাইভ এবং মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। নিউ চণ্ডীগড়ের ওম্যাক্স ক্যাসিয়ায় নিশান্তের সরকারি বাসভবন থেকে ৬০টিরও বেশি মদের বোতল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আরও জানা গিয়েছে, ৪০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে নিশান্ত ও তাঁর পরিবারের। এ ছাড়াও রয়েছে ৩২ লক্ষ টাকা মূল্যের দু’টি বিলাসবহুল গাড়ি এবং বিপুল অঙ্কের স্থায়ী আমানত। এ সব উদ্ধার হওয়ার পরেই নিশান্তের বিরুদ্ধে নতুন করে শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement