মন্ত্রিসভার রদবদলের পাশাপাশি কয়েকটি রাজ্যে রাজ্যপাল বদলেও তৎপর এ বার নরেন্দ্র মোদী। সরকারের একটি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই অরুণ জেটলি ও দলের সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে এক প্রস্ত আলোচনা করেছেন। মন্ত্রিসভা ও দলে রদবদলের সঙ্গেই এই বিষয়টি স্থির হবে। সরকারের সূত্রটি মনে করছে, কম-বেশি পাঁচ রাজ্যে রাজ্যপাল বদল হতে পারে।
রাজস্থানের রাজ্যপাল কল্যাণ সিংহকে ইস্তফা দিইয়ে তাঁকে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল কৃষ্ণকান্ত পলকে বিজেপি শাসিত রাজস্থানে পাঠানো হতে পারে। মোদী সরকারের অনেকেই সন্তুষ্ট নন কৃষ্ণকান্তের ভূমিকায়। তাঁদের মতে, উত্তরাখণ্ডে সঙ্কটের সময় তিনি কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হরীশ রাওয়তকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছেন।
আগামী বছর গুজরাতের ভোট। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেলকে সরিয়ে কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল করার সিদ্ধান্তও অনেকটা পাকা। তাঁকে পঞ্জাবে পাঠানোর ভাবনা রয়েছে। এই মুহূর্তে পঞ্জাবে স্থায়ী রাজ্যপাল নেই। কপ্তান সিংহ সোলঙ্কী চণ্ডীগড়, হরিয়ানার পাশাপাশি পঞ্জাবের দায়িত্বও পালন করছেন। তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল পদে কে রোসাইয়ার মেয়াদ শেষ হচ্ছে অগস্টে। মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নরেশ যাদবের মেয়াদও এ বছর শেষ হবে। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তেলঙ্গানা ভাগ হওয়ার পরেও দুই রাজ্যের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন ই এস এল নরসিংহন। কেন্দ্র দু’রাজ্যে আলাদা রাজ্যপাল নিয়োগ করতে চায়। মেঘালয়ের রাজ্যপাল ভি সন্মুগনাথনের হাতেও রয়েছে মণিপুরের অতিরিক্ত দায়িত্ব। এই দু’রাজ্যেও আলাদা রাজ্যপাল নিয়োগ করা যেতে পারে।
ফলে সব মিলিয়ে কম-বেশি পাঁচ রাজ্যে রাজ্যপাল নিয়োগ করতে পারে সরকার। নতুনদের মধ্যে উঠে আসছে দিল্লির প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বি এস বস্সীর নাম। বিশিষ্ট আইনজীবী সোলি সোরাবজিকেও রাজ্যপাল করার প্রস্তাব রয়েছে। মন্ত্রিসভার রদবদলে যদি ৭৫ বছর পেরিয়ে যাওয়া নাজমা হেপতুল্লা বা কলরাজ মিশ্রকে বাদ দেওয়া হয়, তাঁদেরও রাজভবনের বাসিন্দা করা হতে পারে।
রাজ্যসভায় অবশ্য বিশেষ কোনও বদল ঘটাচ্ছে না বিজেপি। ১৫টি রাজ্য থেকে রাজ্যসভার ৫৭টি আসনে নির্বাচন হবে আগামী ১১ জুন। মন্ত্রিসভায় রাজ্যসভার যে ক’জন রয়েছেন, তাঁরা সকলেই ফের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের। এঁরা হলেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু, পীযূষ গয়াল, বীরেন্দ্র সিংহ, মুখতার আব্বাস নকভি, নির্মলা সীতারামন ও সুরেশ প্রভু। রাজ্যসভায় আর এক দফার জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন এম জে আকবর। টিকিট পাননি চন্দন মিত্র। বদলে আসছেন বিনয় সহস্রবুদ্ধে।