Delhi Air Pollution

বায়ুদূষণে অসুস্থতার কথা মোদী সরকার জানেও না, মানেও না

সংসদের গোটা শীতকালীন অধিবেশনেই দিল্লির বায়ুর মান গুরুতর থেকে অত্যন্ত খারাপের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। বিষয়টি নিয়ে সংসদে বিরোধীরা আলোচনা চাইলে বিস্তর টালবাহানার পরে তাতে রাজি হয় সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৩৯
Share:

উত্তরোত্তর খারাপ হচ্ছে দিল্লির বাতাস। — ফাইল চিত্র।

উত্তরোত্তর খারাপ হচ্ছে দিল্লির বাতাস। দূষিত বায়ু ধারাবাহিক ভাবে শরীর ঢুকে বাড়াচ্ছে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, বাড়ছে হৃদরোগের সম্ভাবনা, হচ্ছে চোখের ক্ষতি। তার পরেও সংসদে বায়ুদূষণ নিয়ে আলোচনা নরেন্দ্র মোদী সরকার কেবল এড়িয়েই গেল তা নয়, উল্টে সংসদে তারা দাবি করল, বায়ুদূষণের কারণে ফুসফুস বা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা তৈরি হচ্ছে, এমন কোনও তথ্য অন্তত সরকারের কাছে নেই!

সংসদের গোটা শীতকালীন অধিবেশনেই দিল্লির বায়ুর মান গুরুতর থেকে অত্যন্ত খারাপের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। বিষয়টি নিয়ে সংসদে বিরোধীরা আলোচনা চাইলে বিস্তর টালবাহানার পরে তাতে রাজি হয় সরকার। কিন্তু ‘বিকশিত ভারত জি-রাম জি’ বিলের আলোচনায় বিরোধীরা হট্টগোল করে সরকার পক্ষের জবাব ভন্ডুল করার চেষ্টা করেছে, ওই যুক্তি দেখিয়ে দূষণ সংক্রান্ত আলোচনা এড়িয়ে যায় শাসক শিবির। দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে আলোচনা হলে তা রুখতে দিল্লির বিজেপি সরকারের ব্যর্থতার দিক উঠে আসত। তা আটকাতেই মোদী সরকার সংসদে আলোচনা এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল নিল বলে মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় আজ কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, ‘‘সরকার আলোচনা চাইছিল। কিন্তু বিরোধীরা রাম-জি বিলের সময়ে ওয়েলে থাকা সংসদীয় কর্মীদের টেবিলে উঠে পড়েছিলেন। তাই অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে হয়। বিরোধীরা নিজেদের আসনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানালে,আলোচনা হতে পারত।’’ বিরোধীদের কটাক্ষ, সরকারের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় এখন আলোচনা না হওয়ার দায় বিরোধীদের ঘাড়ে ঠেলে দিতে চাইছে মোদী সরকার। দূষণ নিয়ে আলোচনার বদলে এই অধিবেশনকে দূষণকারী অধিবেশনে পরিণত করেছে!

আলোচনা এড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বায়ুদূষণের সঙ্গে অসুস্থ হওয়ার সম্পর্ক না থাকা নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রকের উত্তর হতবাক বিরোধী শিবির এবং ভুক্তভোগীরা। গত কাল একটি প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংহ জানিয়েছেন, শ্বাসযন্ত্রজনিতসমস্যা ও রোগের পিছনে বায়ুর খারাপ মান অন্যতম কারণ হলেও সরকারের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তার ভিত্তিতে খারাপ বায়ুর মান ও ফুসফুসের রোগের সরাসরি কোনও সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। যা শুনে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘গত ২০২২-২০২৪ সালে দিল্লির ছ’টি সরকারি হাসপাতালে দু’লক্ষের বেশি মানুষ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। আর সরকার কোনও সম্পর্ক খুঁজে পাচ্ছেন না! এ নিয়ে তিন বার এ ধরনের উত্তর দিল সরকার।’’ দিল্লিবাসীর কটাক্ষ, যে দলের মুখ্যমন্ত্রী একিউআই (বায়ুর গুণমানের সূচক) এবং আইকিউ (বুদ্ধিমত্তা) গুলিয়ে ফেলেন, যিনি দূষণ কমাতে তন্দুরি চিকেন বানানো বন্ধ করেন, তাঁর দলের কাছে এমন উত্তরই প্রত্যাশিত!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন