—ফাইল চিত্র।
আরও চাপ বাড়ল নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপর।
রাফাল যুদ্ধবিমানের দাম জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। ফ্রান্সের থেকে ৩৬টি যুদ্ধবিমান কিনছে কেন্দ্র। কিন্তু গোপনীয়তার শর্ত দেখিয়ে সংসদেও তার দাম জানাতে চায়নি। কিন্তু প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ আজ নির্দেশ দিয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে বন্ধ খামে রাফালের দাম সংক্রান্ত বিশদ তথ্য জানাতে হবে।
কোর্ট নির্দেশ দিলেও সরকার রাফালের দাম জানাবে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল যুক্তি দেন, রাফাল-এর দাম সংক্রান্ত তথ্য সংসদেও জানানো হয়নি। তা শুনে প্রধান বিচারপতি গগৈ বলেন, ‘‘যদি তা গোপন তথ্য হয়, সেটাও হলফনামা দিয়ে জানান যে আপনারা দাম জানাতে পারবেন না।’’
সামনেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। প্রচারে গিয়ে রাফাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধছেন রাহুল গাঁধী। অভিযোগ করছেন, ইউপিএ-সরকারের থেকে তিন গুণ দামে এক একটি রাফাল কিনেছেন মোদী। তিনি নিজে ফ্রান্সে গিয়ে চুক্তি করে, অনিল অম্বানীকে বরাত পাইয়ে দিয়েছেন। বিচারপতিরা আজ জানিয়েছেন, যে সব জনস্বার্থ আবেদন এসেছে, তার কোনওটাতেই রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়নি। সিদ্ধান্তের পিছনে সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাই কোর্ট এই সংক্রান্ত তথ্য চাইছে। ফ্রান্সের তরফে ভারতীয় সংস্থাকে দেওয়া বরাত সংক্রান্ত তথ্যও দিতে বলেছে আদালত।
রাফালের দাম নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট তথ্য চাওয়ায় কংগ্রেস নতুন অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে। দলের নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালার মন্তব্য, ‘‘এ বার আর দুর্নীতিগ্রস্ত মোদী সরকারের পক্ষে তদন্ত থেকে পালানো সম্ভব নয়।’’
আইনজীবী এম এল শর্মা, বিনীত ধান্ডা, আপ-নেতা সঞ্জয় সিংহের পাশাপাশি যশবন্ত সিনহা-অরুণ শৌরি-প্রশান্ত ভূষণরা রাফাল-চুক্তিতে আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ওই তিন জন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মার কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
তবে প্রধান বিচারপতি এখনই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে রাজি হননি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, ‘‘তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আগে সিবিআই নিজের ঘর গুছিয়ে নিক।’’ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ নভেম্বর।