নেস ওয়াদিয়া। —ফাইল চিত্র।
মাদক রাখার অপরাধে জাপানে দু’বছরের জেল শিল্পপতি নেস ওয়াদিয়ার। গত মার্চ মাসে জাপানে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই চরস রাখার অপরাধে তাঁকে আটক করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
সে দেশের এনএইচকে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর জাপানের হোক্কাইদো দ্বীপে নিউ চিতোসে বিমানবন্দরে স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। সেই সময় নেস ওয়াদিয়ার ট্রাউজারের পকেট থেকে ২৫ গ্রাম চরস উদ্ধার হয়।
১৯৪৮ সাল থেকে জাপানে গাঁজা, চরস জাতীয় মাদক নিষিদ্ধ। ধরা পড়লে পাঁচ বছর পর্যন্ত সাজা এবং জরিমানা হতে পারে। তা নিয়ে ব্যবসা করতে গিয়ে ধরা পড়লে সাজা হতে পারে সাত থেকে দশ বছর পর্যন্ত। যদিও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যই চরস রেখেছিলেন বলে নিউ চিতোসে বিমানবন্দরের শুল্ক আধিকারিকদের জানান নেস। তবে রেহাই পাননি তিনি। বরং সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
আরও পড়ুন: রাজীবের গ্রেফতারির আবেদন, সিবিআইয়ের কাছে তথ্য লোপাটের প্রমাণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট
আরও পড়ুন: দলের ধমক খেয়েই মিডিয়ার ঘাড়ে দায় চাপালেন অনুপম, ‘কেষ্টকাকু’ ২৪ ঘণ্টাতেই ‘কেষ্টদা’
ধরা পড়ার পর কিছুদিন এবং আদালতে শুনানি শুরু হওয়ার আগে কয়েকদিন, সেখানে নেস ওয়াদিয়াকে আটক করে রাখা হয় বলেও জানা গিয়েছে। পরে সাপরো জেলা আদালত তাঁকে দু’বছরের সাজা শোনায়, যা কার্যকর হবে পাঁচ বছর পর। আপাতত ভারতেই রয়েছেন নেস। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ওয়াদিয়া গ্রুপের এক মুখপাত্র জানান, এই ঘটনায় নেস ওয়াদিয়ার উপর তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না। আগের মতোই ব্যবসার দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।
ওয়াদিয়া গ্রুপের উত্তরাধিকার নেস ওয়াদিয়া। বম্বে ডায়িং, বম্বে বর্মণ ট্রেডিং, ব্রিটানিয়া বিস্কিটের মতো সংস্থা তাদের অধীনে। এ ছাড়াওআইপিএল ক্রিকেট টিম কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের মালিকানাও রয়েছে নেস ওয়াদিয়ার হাতে। অভিনেত্রী প্রীতি জিন্টার সঙ্গে একসময় সম্পর্ক ছিল তাঁর। পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন প্রীতি। পরে অবশ্য অভিযোগ তুলে নেন তিনি।