Crime in Odisha University Premises

গ্যাস সিলিন্ডার পরীক্ষার নাম করে অধ্যাপকের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা! ওড়িশার সেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই

আগন্তুক নিজেকে এলপিজি সিলিন্ডারের মিস্ত্রি বলে পরিচয় দিয়ে জানান, কোম্পানি থেকে তাঁকে পাঠানো হয়েছে। তিনি সিলিন্ডার এবং সিলিন্ডারের পাইপ পরীক্ষা করবেন। কিন্তু ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দেন ওই ব্যক্তি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৫ ১৫:৩১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দিন কয়েক আগে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়েছিলেন এক ছাত্রী। ওড়িশার সেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এ বার ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল। পুলিশ সূত্রে খবর, বালেশ্বরের ফকির মোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক জানিয়েছেন, কোয়ার্টারে ঢুকে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

ওড়িশা পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি শনিবার দুপুরে। অভিযোগ অনুযায়ী, ফকির মোহন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অধ্যাপকদের কোয়ার্টারে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। তার পর দরজা বন্ধ করে এক অধ্যাপকের স্ত্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন তিনি। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।

রবিবার ওই অধ্যাপক পুলিশকে জানিয়েছেন, শনিবার দুপুরে তাঁদের কোয়ার্টারে যান এক ব্যক্তি। কলিং বেল বাজানোর পর দরজা খোলেন তাঁর স্ত্রী। আগন্তুক নিজেকে এলপিজি সিলিন্ডারের মিস্ত্রি বলে পরিচয় দিয়ে জানান, কোম্পানি থেকে তাঁকে পাঠানো হয়েছে। তিনি সিলিন্ডার এবং সিলিন্ডারের পাইপ পরীক্ষা করবেন। কিন্তু ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দেন ওই ব্যক্তি।

Advertisement

অধ্যাপকের দাবি, প্রথমে তাঁর স্ত্রীকে অযাচিত ভাবে স্পর্শ করেন ওই ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রীর হাত চেপে ধরেন অভিযুক্ত। স্ত্রী চিৎকার করে নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন ধস্তাধস্তি হয়। কোনও রকমে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে অধ্যাপকের নাম ধরে চিৎকার করেন স্ত্রী। তখন বাইরে থেকে নিরাপত্তাকর্মীরাও ছুটে আসেন কোয়ার্টারে। অভিযুক্তকে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় থানায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বাড়ি বালেশ্বর জেলার নীলগিরিতে। তিনি সত্যিই গ্যাসের মিস্ত্রি কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্য দিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনার পরিবেশ ফকির মোহন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সপ্তাহ দুই আগে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী অধ্যক্ষের ঘরের সামনে গিয়ে নিজের গায়ে আগুন ধরান। অভিযোগ, বার বার যৌন হেনস্থার অভিযোগ করলেও কোনও পদক্ষেপ করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাই প্রতিবাদ হিসাবে ওই কাজ করেছেন তিনি। ওই ঘটনা নিয়ে ওড়িশার রাজনৈতিক মহলে চাপানউতর জারি রয়েছে। তার মাঝে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে শোরগোল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement