প্রতীকী ছবি।
পঞ্জাবে জাল ছড়াতে নয়া ছক কষেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। আর এ বারের হাতিয়ার বিয়ে।
গোয়েন্দাদের একাংশের দাবি, বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে পঞ্জাবে যুবকদের পাঠাচ্ছে আইএসআই। সেখানে গিয়ে অনাবাসী ভারতীয় সেজে তরুণীদের বিয়ে করছে সেই যুবকেরা। আর এ ভাবেই জোগাড় হয়ে যাচ্ছে ভারতে থাকার আইনি কাগজপত্র। বৈধ ভাবে ভারতে থেকেই নানা ধরনের নাশকতামূলক ছক তৈরির কাজ চলছে। এর আগেও ভারতীয় মহিলাদের ব্যবহার করে মধুচক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছে আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পাকিস্তানের খলিস্তানি জঙ্গিদের এই কাজে ব্যবহার করছে আইএসআই। অন্য কোনও দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতে আসছে তারা। প্রথমে নেপাল, সেখান থেকে উত্তরপ্রদেশ হয়ে পঞ্জাবে ঢুকছে এই জঙ্গিরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় অনাবাসী ভারতীয় সেজে মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাচ্ছে। সেখান থেকে সম্পর্ক তৈরি এবং শেষমেশ বিয়ে। তার ফলেই হাতে এসে যাচ্ছে ভারতে থাকার ছাড়পত্র।
গত ১২ অক্টোবর জালন্ধর থেকে আহসান উল হক নামে এমনই এক পাক গুপ্তচরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে অস্ট্রিয়ার পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানায়, ২০১১ সালে বলবিন্দর কৌর নামে মুকুন্দপুর গ্রামের এক শিখ মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় আহসানের। পরে তাঁকে বিয়েও করে আহসান। ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মোট পাঁচ বার ভারতে এসেছে আহসান। শেষ বার তিন মাসের ভিসা নিয়ে এসেছিল সে। তখনই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, পাকিস্তান থেকে সৌদি আরবে গিয়ে এক অস্ট্রিয়ার মহিলাকে বিয়ে করেছিল আহসান। ২০০৯ সালে তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আহসানের কাছ থেকে ভারতীয় প্যান কার্ড ও আধার কার্ডও উদ্ধার করেছে পুলিশ। বলবিন্দরকে বিয়ে করার পরে জালন্ধরের আলিপুর গ্রামে একটি জমিও কিনেছিল আহসান।
জালন্ধরের পুলিশ কমিশনার পরভিন সিংহ জানিয়ছেন,ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় আহসানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
৭ বছর আগে পঞ্জাবের জালন্ধর ও ফিরোজপুর থেকে এমনই দুই চরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জেরায় তারা স্বীকার করে স্থানীয় মেয়েদের বিয়ের জালে ফাঁসিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট ও অন্য নথি সংগ্রহ করতেই তাদের পাঠানো হয়েছিল।