Bihar Election 2025

বিহারের ভোটার তালিকায় বাংলাদেশ-সহ তিন পড়শি দেশের নাগরিকের খোঁজ পেল কমিশন! বলছে সংবাদ সংস্থা

চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সেখানকার ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) করতে উদ্যোগী হয়েছে কমিশন। দাবি, তিন দেশের নাগরিক পাওয়া গিয়েছে বিহারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫ ১৫:৪৭
Share:

বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন করতে উদ্যোগী নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।

বিহারের ভোটার তালিকায় অন্য দেশের অনেক নাগরিকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বুথ স্তরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘোরার পর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্বাচন কমিশনের সূত্র উল্লেখ করে এমনটাই জানাল সংবাদসংস্থা পিটিআই। আনুষ্ঠানিক ভাবে কমিশনের তরফে অবশ্য এই সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা এখনও করা হয়নি। তবে কমিশনের আধিকারিকদের উল্লেখ করে পিটিআই জানিয়েছে, ‘প্রচুর সংখ্যক বিদেশি ভোটার’ রয়েছে বিহারে।

Advertisement

চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সেখানকার ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) করতে উদ্যোগী হয়েছে কমিশন। ভোটারদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি দিতে বলা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ হিসাবে বুথ স্তরের আধিকারিকেরা বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। ভোটারদের পরিচয়, নথি যাচাই করছেন। সূত্রের খবর, এর মধ্যেই বাংলাদেশ, নেপাল এবং মায়ানমারের নাগরিকদের খোঁজ মিলেছে, যাঁরা বিহারে আছেন। কমিশন সূত্রে দাবি, বেআইনি এই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় থাকবে না। ওই তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। ১ অগস্টের পর থেকে এই সমস্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। তার পর চূড়ান্ত হবে ভোটার তালিকা।

গত ২৫ জুন থেকে বিহারে এসআইআর-এর বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন। ভোটারদের মধ্যে বিলি করা হয় ফর্ম। তা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জুলাই। এর পর একটি খসড়া তালিকা ১ অগস্টের মধ্যে তৈরি করা হবে। কমিশনের তরফে ১১টি নথির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেগুলি পরিচয়ের প্রমাণ হিসাবে বিবেচিত হবে। এই নথিগুলি ভোটারদের জমা দিতে হবে। এই তালিকায় আধার কার্ড, রেশন কার্ডের মতো সহজলভ্য নথি রাখা হয়নি।

Advertisement

কমিশনের এই ভোটার তালিকা সংশোধনের সিদ্ধান্তে প্রথম থেকেই আপত্তি তুলেছে বিরোধীরা। অভিযোগ, এর ফলে বহু মানুষ ভোটাধিকার হারাবেন। যাঁরা এত দিন ধরে ভোট দিয়ে আসছেন, তাঁদেরও কেন ভোটাধিকারের প্রমাণ দিতে হবে, প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং অন্যরা এই সংক্রান্ত আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেছেন। মহুয়াদের আর্জি, অবিলম্বে কমিশনের এই এসআইআর স্থগিত করা হোক। বিহারের মতো অন্য কোনও রাজ্যে যাতে এই ধরনের নির্দেশ না দেওয়া হয়, তা-ও নিশ্চিত করুক আদালত। গত ১০ জুলাই এই সংক্রান্ত সমস্ত মামলা একত্রে শোনে আদালত। এসআইআর কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ না করলেও আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ডও পরিচয়পত্র বিবেচনা করার কথা কমিশনকে বলেছেন বিচারপতি। ২৮ জুলাই আবার এই মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে।

শনিবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিহারের সকল ভোটারের কাছে ফর্ম বিলি করার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। ‌যাঁদের নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের ফর্ম দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৮০.১১ শতাংশ ফর্ম জমাও পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। যার অর্থ, প্রতি পাঁচ জন ভোটারের মধ্যে চার জনই ফর্ম জমা দিয়ে দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement