PM Narendra Modi

২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের পর, প্রধানমন্ত্রী এখনও ‘নীরব’ মোদী

২০১৯-এ কর্নাটকে দাঁড়িয়েই ‘মোদী মন্তব্য’ করেন রাহুল। তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই কর্নাটকেই সভা করলেও রাহুল নিয়ে একটি বাক্যও শোনা গেল না মোদীর গলায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩ ১৯:৩৪
Share:

২৪ ঘণ্টা পেরোল, রাহুল নিয়ে নীরবই রইলেন মোদী। — ফাইল ছবি।

‘মোদী’ পদবি নিয়ে মন্তব্যের জেরে সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে রাহুল গান্ধীর। তার পর কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টার বেশি। যাঁর পদবি নিয়ে বলে শাস্তি পেলেন কংগ্রেস নেতা, সেই প্রধানমন্ত্রী কিন্তু শনিবার সম্পূর্ণ নীরবই রয়ে গেলেন তাঁর কর্নাটকের বক্তৃতায়। মোদীর নিশানায় পড়লেন কর্নাটকের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া থেকে শুরু করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জুড়ে ছিল, কেন কর্নাটকে বিজেপির জয় অবশ্যম্ভাবী তার ব্যাখ্যাও।

Advertisement

২০১৯-এর লোকসভা ভোটের প্রচারে মোদী পদবি নিয়ে একটি জনসভায় মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। তার বিরুদ্ধে গুজরাতের একটি আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন এক বিজেপি বিধায়ক। আদালত রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের সাজা শোনায়। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার সাংসদ পদ খারিজ হয় রাহুলের। শনিবারই রাহুল সাংবাদিক বৈঠকে আবারও তোপ দাগেন মোদীর দিকে। তীক্ষ্ণ অভিযোগ করে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী সংসদে আমার পরের বক্তৃতা নিয়ে ভীত, তাই আমার সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে।’’ পাল্টা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ নিজের মতো করে আক্রমণও শানিয়েছেন। কিন্তু রাহুলের তোলা প্রশ্নের জবাব আসেনি। মনে করা হয়েছিল, কর্নাটকের প্রচারমঞ্চ থেকেই রাহুল-প্রশ্নের জবাব দেবেন মোদী। কিন্তু দক্ষিণের রাজ্যের আসন্ন ভোটেই আটকে রইলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে আদতে কর্নাটকের মানুষ। সেই রাজ্যেরই দেবনাগেরে সভা করতে গিয়ে সে কথাও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায়। তিনি বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত সুখ-সংযোগ। আজ এক দিকে বিজয় সংকল্প র‌্যালি করছি আমরা, অন্য দিকে, কালবুর্গিতে, যেটা কংগ্রেস সভাপতির কর্মভূমি, সেখানেও মেয়র এবং ডেপুটি মেয়রের ভোট বিজেপি জিতে নিল। কংগ্রেস পার্টির রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষের ঘরে বিজেপির বিজয় ডঙ্কা বাজল। এটা বিজয় সংকল্প র‌্যালির জন্যও অত্যন্ত শুভ সঙ্কেত। দেশের পাশাপাশি গোটা রাজ্যেই আমাদের বিজয় যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ মোদী নিজের বক্তব্যে কটাক্ষ করেছেন কর্নাটকের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়াকেও। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যেখানে এক কর্মীকে তাঁর চড় মারার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। মোদীর ভাষণে উঠে এসেছে তা-ও। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি কাল (শুক্রবার) একটি ভিডিয়ো দেখলাম। একটি পার্টির এক বড় নেতা, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, নিজেরই দলের এক কর্মীকে প্রকাশ্যে চড় মেরে আনন্দ করছেন! যিনি নিজের কর্মীদের সম্মান করেন না, তিনি জনতা জনার্দনের সম্মান করবেন কী করে?’’

Advertisement

২০১৯-এর লোকসভা ভোটের প্রচারে কর্নাটকে দাঁড়িয়েই ‘মোদী মন্তব্য’ করেছিলেন রাহুল। তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই কর্নাটকেই জনসভা করলেও রাহুল নিয়ে একটি বাক্যও শোনা গেল না প্রধানমন্ত্রী মোদীর গলায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন