Rape in ICU Bed

আইসিইউতে রোগীকে অচেতন করার ইঞ্জেকশন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ রাজস্থানে! ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা, দাবি পরিবারের

রাজস্থানের অলয়ারে এক ইএসআই হাসপাতালে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল হাসপাতালেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে। মহিলাকে অচেতন করার ইঞ্জেকশন দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫ ১৩:১০
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

হাসপাতালের বেডে এক রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল রাজস্থানে। সেখানে অলয়ার জেলায় এক ইএসআই হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন ৩২ বছর বয়সি ওই মহিলা। অভিযোগ, গত বুধবার সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত তরুণ ওই হাসপাতালেরই এক মেল নার্স। পরিবারের দাবি, আইসিইউ-তে ভর্তি মহিলাকে তিনি প্রথমে অচেতন করার একটি ইঞ্জেকশন দেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে তরুণী অর্ধচেতন হয়ে পড়লে সেই অবস্থায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।

Advertisement

নির্যাতিতার পরিজনদের দাবি, তাঁরা প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পরিবারের। পরে তাঁরা স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান এবং ওই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর রুজু করে পুলিশ। পরিবারের লোকেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, নির্যাতিতাকে অচেতন করার ইঞ্জেকশন দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই সময় পরিবারের সদস্যেরা ওয়ার্ডের বাইরেই ছিলেন। অর্ধচেতন অবস্থাতেই স্বামীর নাম ধরে ডাকছিলেন তরুণী। ওই সময় হাসপাতালেরই অপর এক কর্মী মহিলাকে অর্ধচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরের দিন সকালে নির্যাতিতার জ্ঞান ফিরলে তিনি পরিবারের লোকেদের বিষয়টি জানান।

অলয়ারের ওই থানার সহকারী সাবইনস্পেক্টর মহাবীর সিংহ জানান, অর্ধচেতন অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। তিনি তখন স্বামীর নাম ধরে ডাকছিলেন। তা শুনে হাসপাতালের এক কর্মী মহিলার স্বামীকে ভিতরে ডেকে আনেন। মহিলা তাঁর স্বামীকে কিছু বলার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু অর্ধচেতন থাকার কারণে তাঁর কথা স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছিল না। কিছুক্ষণের মধ্যেই মহিলা ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে গোটা ঘটনার কথা জানান তিনি।

Advertisement

পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও শুরুতে কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপই করতে চাননি। অভিযোগপত্র অনুসারে, নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের কাছে অভিযুক্ত মেল নার্সকে নিয়ে আসেন কর্তৃপক্ষ এবং তাঁকে দিয়ে ক্ষমাও চাওয়ানো হয়। এইটুকু করেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পরিবারের। যদিও ওই ইএসআই মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ঘটনাটি জানার পরেই একটি অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানদল গঠন করা হয়। শনিবার তারা একটি রিপোর্ট জমা দেবে। এ দিকে স্থানীয় পুলিশও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নির্যাতিতার বয়ান সংগ্রহ করে তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থাও করেছে পুলিশ। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement