মাংসের আকালে নাকাল লখনউ

কসাইখানা বন্ধের প্রতিবাদে মাংস ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটে যেতেই নড়েচড়ে বসল যোগী আদিত্যনাথের সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭ ০৩:৪৫
Share:

কসাইখানা বন্ধের প্রতিবাদে মাংস ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটে যেতেই নড়েচড়ে বসল যোগী আদিত্যনাথের সরকার।

Advertisement

মোষের মাংস না পেয়ে গত ক’দিন লখনউয়ের টুন্ডে কাবাবি ও রহিমস-এর মতো বিখ্যাত দোকানগুলি মুরগি ও পাঁঠার মাংস দিয়েই কাবাব বানাচ্ছিল। আজ বন্ধ ছিল সেগুলিও। তার উপর যোগী সরকার বুঝতে পারছে, মুখ্যমন্ত্রীর ফরমানের জেরে রাজ্যে রীতিমতো পুলিশি জুলুম চলছে। শুধু অবৈধ নয়, হাত পড়ছে বৈধ কসাইখানাতেও। এমনকী মুরগি ও পাঁঠার মাংসের দোকানও বন্ধ করা হচ্ছে দেদার। তার ফলে ওই দুই মাংসের দাম বেড়ে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের। বন্ধ কসাইখানায় শুধু সংখ্যালঘু নন, রুটি-রুজি হারাচ্ছেন হিন্দুরাও। মোষ বিক্রি করতে না পেরে মাথায় হাত কৃষকেরও। ভিড় মাছের দোকানে। তবে ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরাও।

পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিংহকে আসরে নামায় যোগী সরকার। সিদ্ধার্থনাথ বলেন, কসাইখানা বন্ধ করতে গিয়ে সরকারি অফিসাররা যেন মাত্রা না ছাড়ান। তাঁর দাবি, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে শুধু অবৈধ কসাইখানার বিরুদ্ধেই। বৈধ কসাইখানা বন্ধ হবে না। কিন্তু অভিযোগ, তুচ্ছ কারণে নোটিস না দিয়েই বন্ধ করা হচ্ছে কসাইখানা।

Advertisement

আরও পড়ুন: তিস্তা নিয়ে মধ্যস্থতা করুন প্রণব, চাইছেন হাসিনা

আজ লোকসভায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্র। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, ‘‘অবৈধ কসাইখানাগুলির বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন