(বাঁ দিকে) এস জয়শঙ্কর এবং চিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যান ঝেং। ছবি: পিটিআই।
দুই পড়শির মধ্যে বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধির বিষয়ে সহমত হল ভারত এবং চিন। বেজিং প্রভাবিত রাষ্ট্রজোট সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে চিনে গিয়েছেন এস জয়শঙ্কর। চিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যান ঝেংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই পারস্পরিক আলোচনা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়ার কথা বলল দু’পক্ষ। ২০২৪-এর অক্টোবর মাসে কাজ়ানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে যে আলোচনা হয়েছিল, তা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন জয়শঙ্কর এবং হ্যান ঝেং। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে লাদাখের গলওয়ানে ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই প্রথম বেজিং সফরে গেলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।
সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে জয়শঙ্কর লেখেন, “গত অক্টোবরে কাজ়ানে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। আমি আশাবাদী যে, এই বৈঠক আমাদের সম্পর্কের এই ইতিবাচকতাকে বজায় রাখবে।” ভারত-চিন সম্পর্কের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে জয়শঙ্কর বলেন, “আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এখন খুবই জটিল। প্রতিবেশী এবং বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসাবে আমাদের পারস্পরিক অবস্থান খোলাখুলি জানা এবং জানানো উচিত।” সংঘাত এড়িয়ে যে কোনও সমস্যায় কূটনৈতিক সমাধানের কথাই জয়শঙ্কর বোঝাতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে কাজ়ানের বৈঠকের কথা বলেছেন চিনের ভাইস প্রেসিডেন্টও। চিন এবং ভারতের সম্পর্কের কথা বোঝাতে ড্রাগন এবং হাতির রূপক টেনেছেন তিনি। জানিয়েছেন, দুই দেশের সম্পর্ক সঠিক পথ ধরেই এগোচ্ছে। বস্তুত, পাকিস্তান এবং চিনের ‘সখ্য’ নিয়ে সম্প্রতি বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে। ‘সার্ক’ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ায় বিকল্প জোট তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে ইসলামাবাদ এবং বেজিং। পরবর্তী দলাই লামা বাছাই ঘিরেও সম্প্রতি চিনের বিভিন্ন মন্তব্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে। এরই মাঝে জয়শঙ্করের চিন সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কিছু দিন আগেই অবশ্য চিন সফরে গিয়েছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।