(বাঁ দিকে) মৃত যুবক। (ডান দিকে) অভিযুক্ত স্ত্রী এবং সেই নীল ড্রাম। ছবি: সংগৃহীত।
ঠিক যেন উত্তরপ্রদেশের মেরঠের মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত খুনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি! সৌরভকে খুনের পর টুকরো করে তাঁর দেহ নীল ড্রামে ভের সিমেন্ট দিয়ে মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলেন স্ত্রী মুস্কান এবং তাঁর প্রেমিক। ঘটনাচক্রে, সেই ঘটনার কথা পুলিশকে জানিয়েছিল সৌরভের কন্যা। সে বলেছিল, ‘‘বাবাকে ওরা নীল ড্রামে ভরেছে।’’
রাজস্থানের অলওয়ারে এক যুবক খুনে ঠিক একই ভাবে পুলিশকে জানাল তাঁরই আট বছরের পুত্র। কী ভাবে মা এবং আর এক যুবক মিলে তার বাবাকে ড্রামে ভরেছে সেটা জানিয়েছে পুলিশকে। ঘটনাচক্রে, মেরঠের মতো এখানেও খুনের পর নীল ড্রাম ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশকে খুদে ছেলেটি জানিয়েছে, বাবাকে ড্রামে ভরতে দেখেছে সে। পুলিশকে ওই খুদে বলে, ‘‘আমার মা, বাবা এবং কাকা (বাড়িওয়ালার ছেলে) একসঙ্গে মদ্যপান করছিলেন। তার পরই মাকে মারতে শুরু করে বাবা। তখন বাবাকে আটকানোর চেষ্টা করে কাকা। কিন্তু বাবা তাকে জানায়, যদি আটকানোর চেষ্টা করে, তা হলে তাকেও মেরে ফেলবে।’’
খুদে আরও জানানয়, তার পরই বাবাকে মারধর শুরু করেন কাকা। মা-ও তাঁর সঙ্গে হাত লাগান। তার কথায়, ‘‘মা আমাকে শুতে যেতে বলে। ঘুম থেকে উঠে দেখি বাবা শুয়ে আছে। তার পর আবার ঘুমিয়ে পড়ি। আবার ঘুম ভাঙতেই দেখি বাবাকে একটা ড্রামের মধ্যে ভরছে মা এবং কাকা। জিজ্ঞাসা করেছিলাম বাবাকে কেন ড্রামে ভরছ। তখন আমাক বলা হয়, বাবার মারা গিয়েছে।’’
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যুবককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এই ঘটনায় যুবকের স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নীল ড্রামটি বাড়ির দোতলায় ঢাকা দিয়ে রাখা ছিল। বাড়ির মালিক পচা গন্ধ পাওয়ায় ভাড়াটে মহিলাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। কিন্তু তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতেই সন্দেহ হয়। তখন পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।